পাকিস্তানকেও নির্বাসিত করতে পারে আইসিসি!

0
60

আইসিসির দাবি, জিম্বাবুয়ের বোর্ড নির্বাচন স্বচ্ছ নয়। তাছাড়া বোর্ডের অভ্যন্তরে সেই দেশের সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রভাব ছিল বলেও জানিয়েছে আইসিসি। একইরকম কাণ্ডের জন্য আইসিসির তোপের মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। জিম্বাবুয়ের নির্বাসন পাকিস্তানের কাছে সতর্ক বার্তা বলে মনে করছে ক্রিকেট বিশ্বের অনেকে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে দেশটির সরকারের সরাসরি দখলদারি রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। নিয়ম অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে পিসিবির প্যাট্রন পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য ডন’র তথ্য অনুযায়ী, পিসিবির সংবিধানে এমন অনেক অনুচ্ছেদ রয়েছে যেখানে সরকারী হস্তক্ষেপের অধিকার রয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে বোর্ডের প্যাট্রন পদের দায়িত্ব দেওয়ায় সরাসরি সরকারি দখলদারির প্রশ্নও চলে আসে। এমন অবস্থায় পিসিবির সংবিধান নিয়ে আইসিসি প্রশ্ন তুলতে পারে। আর তেমন হলে পিসিবির সাংবিধানিক নিয়ম বিপাকে ফেলতে পারে পাকিস্তানকে। তাদের অবস্থাও হতে পারে জিম্বাবুয়ের মতো।

পিসিবির সংবিধানের অনুচ্ছেদ নম্বর ৪৫-এ লেখা রয়েছে, সরকার যদি চায় তাহলে বোর্ড’র সংবিধানে পরিবর্তন আনতে পারে। সংবিধানে কোন নিয়ম জুড়ে দেওয়ার বা ছেঁটে ফেলার অধিকার সরকারের রয়েছে। আরেক জায়গায় লেখা রয়েছে, প্যাট্রন চাইলে বোর্ডের জেনারেল পলিসি নিয়ে নিজের মতামত জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে বোর্ডকেও প্যাট্রন-এর মতামতের গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকী পিসিবির অধ্যক্ষকে সরানোর অধিকারও রয়েছে প্যাট্রনের।

পাকিস্তানের দাবি, ২০১৪ সালে তাদের সংবিধানকে মান্যতা দিয়েছে আইসিসি। এর আগে সংবিধানে সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য শ্রীলঙ্কা ও নেপাল ক্রিকেট বোর্ডকে সতর্ক করেছিল আইসিসি। এবার কি তবে পাকিস্তানের পালা!

কারণ, পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলের একাংশ মনে করে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে পিসিবির কাজে খুব বেশি হস্তক্ষেপ করেন। কারণ, তার সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক রয়েছে। আর তিনি এখন সরকারে। ফলে পিসিবির ভাল-মন্দ তার চোখ এড়ায় না। আর এটাই বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here