বাংলা খবর ডেস্ক: পাকশীর আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার, বিচার ও ফাঁসির দাবিতে ঈশ্বরদীতে অর্ধদিবস হরতাল ২৯ জুলাই পালন করা হবে।
‘মুক্তিযোদ্ধা-জনতা’ ব্যানার থেকে এ ঘোষণা দেন ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস।
আগামী ২৯ জুলাই সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঈশ্বরদীর সর্বত্র এ হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঈশ্বরদীর মাহবুব আহম্মেদ উন্মুক্ত স্মৃতিমঞ্চে বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এক জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস এ হরতালের ঘোষণা দেন। জনসভা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা।
আওয়ামী লীগ নেতা নায়েব আলী বিশ্বাস জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হরতাল দেয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যার ছয় মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে হরতাল দেয়া হলো।’
জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক সাংসদ পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডল, ফজলুর রহমান ফান্টু প্রমুখ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, আসামিদের গ্রেফতরের জন্য পুলিশ তৎপর আছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে পাঠানোর একটি নির্দেশনা এসেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুতই পিবিআইকে মামলাটি হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পাকশীতে তার নিজ বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হন।
তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার ছেলে তানভীর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।