জয়পুরহাটে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সেলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক কলেজ ছাত্রী। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শান্তিনগর এলাকার একটি ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
আতœহননকারী ছাত্রী শাপলা খাতুন (২৪) সদর উপজেলার চকদাদড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ও ক্ষেতলাল উপজেলার নওটিকা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে এবং জয়পুরহাট সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও ছাত্রী নিবাসের সহপাঠিরা জানায়, দুপুর ৩টার পর খাওয়া-দাওয়া শেষে তার রুমের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমাতে যায় শাপলা। ছাত্রীনিবাসের অপর ছাত্রী মুক্তা ও তাবাচ্ছুম রাত ৮ টার দিকে রুমে তাকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পাওয়ায় আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে দরজা ভেঙ্গে তাকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলুন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শাপলা খাতুনের মৃত্যুর আগে তার পায়ের কাছে একটি চিঠি পাওয়া যায়।
তাতে তার লেখা “আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজেই দায়ী। আমার ক্যান্সার হয়েছে তাই আমি আমার জীবনটা কারো সাথে জড়াতে চাচ্ছিলাম না। আমি আমার জীবনটা নিজের হাতে শেষ করে গেলাম এর জন্য কেউ দায়ী না।” — শাপলা
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, তবে এই আত্মহত্যার পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে এবং এই বিষয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হবে।