মামলা ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে: রিফাতের বাবা

0
69

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির ভাই পিবিআই ও সিআইডি’র তদন্ত দাবি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। তিনি আবারও মিন্নির বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টায় বরগুনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

এসময় নিহত রিফাত শরীফের চাচা আবদুল আজিজ শরীফসহ পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২৪ জুলাই মিন্নির বাবা সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের কাছ থেকে মামলাটিকে পিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে দুলাল শরীফ বলেন, ‘আমার ছেলে শাহনেওয়ার রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ আসামিই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে চললেও প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এক পক্ষ।’

তিনি বলেন, ‘মামলার বাদী হিসেবে আমি মনে করি তদন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হচ্ছে। কিন্তু আসামিরা মামলাকে ভিন্নখাতে নিতে পিবিআই ও সিআইডির তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না যে মামলার আসামি হয়ে মামলার তদন্ত পরিবর্তনের দাবি জানায়। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনও ষড়যন্ত্র আছে। আমি পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট।’

এসময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যার পেছনে মিন্নিই ষড়যন্ত্র করেছে। এর আগেও এসআই আসাদ, ওবায়দুল ও এএসআই সোহেল খান, নয়ন বন্ড ও মিন্নি চলতি বছরের ১১ মে আমার ছেলেকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।’

রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তবে মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনও চার জন গ্রেফতার হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here