আবারও ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

0
94

বাংলা খবর ডেস্ক: অতীতে নানা রকম সাজে নিজের তোলা কিছু ছবি এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর।

কোনো ছবিতে তিনি বাদামি রঙের চামড়ার মানুষের সাজে, আবার কোনো ছবিতে কৃষ্ণাঙ্গের সাজে রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তার তৃতীয় ছবিটি সামনে আসে। যার জেরে দ্বিতীয়বার ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কানাডার এ উদারপন্থী নেতা।

টুইটারে একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করে ট্রুডো বলেছেন, যেসব মানুষ প্রতিদিন বৈষম্যের শিকার হন, আমার এ কাজ তাদের দুঃখ দিয়েছে। এ কাজের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, এর দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমার।

তিনি আরও লেখেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মুখে কালো রঙ মেখে এভাবে সাজা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এই কালো মুখের সঙ্গে একটি ইতিহাস জড়িয়ে আছে। আমার এটি আগেই বোঝা উচিত ছিল।

বিতর্কের পর টুইটারে নিজের প্রোফাইলের ছবিও বদলে ফেলেন ট্রুডো। নতুন ছবিতে এক কৃষ্ণাঙ্গের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে তাকে।

প্রথম ছবিটি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষমা চেয়েছিলেন ট্রুডো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও ক্ষমা চাইতে হলো তাকে।

অক্টোবরেই কানাডায় ভোট। নির্বাচনের আগমুহূর্তে তাই বিরোধীদের অস্ত্রে পরিণত হতে দিতে রাজি নন তিনি।

কনজারভেটিভ পার্টির নেতা অ্যান্ড্রু শিয়ারের বক্তব্য, ট্রুডো যা করেছেন তা বর্ণবৈষম্য ছাড়া কিছুই নয়। শাসকের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি।

আগের ভোটে বিপুল জয় পেয়ে কানাডায় ক্ষমতায় আসা জাস্টিন ট্রুডো এবার ভোটের আগে একটু চাপে রয়েছেন। দুর্নীতি থেকে প্রশাসনিক ব্যর্থতা, অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। নতুন এ বিতর্ক তার সমস্যার পাল্লা ভারী করে কিনা সেটিই দেখার বিষয়।

এর আগে পার্লামেন্টে লুকিয়ে চকলেট খেয়ে বেশ বিপাকে পড়েন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

ট্রুডোর চকলেট খাওয়া প্রথম নজরে আসে কনজারভেটিভ সংসদ সদস্য স্কট রিডের। এর পরই তিনি স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভরা পার্লামেন্টে সবার সামনে উঠে দাঁড়িয়ে ঘটনার জন্য ক্ষমা চান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কারণ পার্লামেন্ট হাউসে বসে লুকিয়ে চকলেট বা অন্য কোনো কিছু খাওয়া আইনত নিষিদ্ধ। আর এই নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই তিনি স্পিকারের কাছে ক্ষমা চান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here