আফগানদের কাছ থেকে শেখার কিছু নেই : রিয়াদ

0
482

বাংলা খবর ডেস্ক: রাতটি হতে পারতো অন্যরকম, সাফল্যে বর্ণিল। দেশের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি আসরে অংশ নিয়েই ট্রফি জয়ের হাতছানি ছিল সাকিব, মুশফিক-রিয়াদদের সামনে।

সেই ১৯৯৭-১৯৯৮ থেকে ওয়ানডেতে একের পর এক টুর্নামেন্ট ও তিন জাতি সিরিজ খেলেও ট্রফি অধরা। কিন্তু ওয়ানডের চেয়ে যে ফরম্যাটে পারফরমেন্স খারাপ, ক্রিকেটের যে ছোট্ট পরিমন্ডলে এখনো ভাবা হয় বাংলাদেশ সবচেয়ে দুর্বল, অদক্ষ ও অপরিণত-সেই ২০ ওভারের ফরম্যাটে ঘরের মাঠে প্রথম তিন জাতি আসরে অংশ নিয়েই বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা হতে পারতো সাকিবের দল। কিন্তু বৃষ্টির বৈরি আচরণে সে সম্ভাবনার অপমৃত্যু ঘটলো।

পন্ড হওয়া ফাইনালের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হাত থেকে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের সাথে তবু হাসি মুখেই ট্রফিটাই ভাগাভাগি করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু ঐ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে আর উৎসব হলো না। বরং ড্রেসিং রুমে হয়তো বৃষ্টিকেই দুষলেন টাইগাররা। ট্রফি জিততে না পারার অতৃপ্তিটা থেকেই গেল।

তাই হয়তো নিয়ম ও প্রথা মেনে সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শেষে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে আসলেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়ার সাথে প্রায় ১২ মিনিট কথা বলে গেলেন।

কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের কারো দেখা নেই। অবশেষে প্রায় ৪০ মিনিট পর মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামের সাথে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে এসে ঢুকলেন টিম বাংলাদেশের অন্যতম সিনিয়র সদস্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

খেলা না হবার হতাশা তাকেও স্পর্শ করেছে অনেক। কথোপকথনের শুরুতেই প্রশ্ন উঠলো, প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজে যে হাজার পাঁচেক ক্রিকেট অনুরাগি খেলা হবে-আশায় উন্মুখ হয়েছিলেন, তাদের জন্য খেলা না হওয়াটা কতটা হতাশার? তাদের টিকিটের অর্থ ফেরত দেবার নিয়ম চালু বা দেয়া যায় কিনা?

রিয়াদ অবশ্য পুরো ব্যাখ্যায় গেলেন না। টিকেটের মূল্য ফেরত দেয়ার প্রসঙ্গে না গিয়ে বললেন, ‘হ্যাঁ, খেলা না হওয়া অবশ্যই অনেক বেশি হতাশার। বৃষ্টিতে খেলা না হওয়ায় খারাপ লেগেছে। আরও বেশি খারাপ লেগেছে, সেই সব কম বয়সী দর্শক ও ক্রিকেট অনুরাগিদের দেখে; যারা ঘন্টার পর ঘন্টা গ্যালারিতে ভিজেও অপেক্ষায় ছিল খেলা দেখতে।’

অনেক কথার ভিড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বোঝানোর চেষ্টা করলেন, অনেক দিন পর তারা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মোটামুটি পারফরম করেছেন। এবং আগামী নভেম্বরে যেহেতু ভারতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ আছে, তাই ভাল করার তাগিদটা থেকেই যাচ্ছে।

এবং মাঝে বিশ্বকাপের পর প্রথমে শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আর পরে দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের সাথে একমাত্র টেস্ট সিরিজে খারাপ খেলার পর এ আসরের পারফরমেন্সটা ব্যর্থতা ও না পাবার ক্ষতে একটা প্রলেপ।

তারপরও রিয়াদ মানছেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো তাদের ভাল করার অনেক জায়গা আছে। কাজ করার বেশ কিছু ক্ষেত্রও আছে।

আফগানিস্তান বাংলাদেশকে টেস্টে হারিয়েছে। একটি দল তাদের তিন নম্বর টেস্টেই ১৯ বছর ধরে টেসট খেলা বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে। পাঁচদিনের খেলায় একটি সেশনেও আফগানিস্তানের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং ফিল্ডিং সব শাখায় উল্টো বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখে রশিদ খানের দল। সেই দলের কাছ থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের টেস্টে শেখার কিছু আছে কি?

রিয়াদের জবাব, ‘নাহ নেই। আমার মনে হয় না, টেস্টে আফগানদের কাছ থেকে আমাদের শেখার কিছু আছে। তাদের ক্রেডিট দিয়েই বলছি, আমরা বেশি খারাপ খেলেছি। তাই ওদের কাছ থেকে শেখার কিছু নেই।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here