বাংলা খবর ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি ও র্যাগিং বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রেক্ষাপটে এই আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে আবরারের বাবা-মাকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
রিট আবেদনে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, আইন সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বুয়েট, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষে চেয়ারপারসনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। ৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকতুল্লাহ। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতা-কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।