পুলিশের বাধায় আবরারের বাড়ি না গিয়ে ফিরলেন আমান

0
55

বাংলা খবর ডেস্ক: পুলিশের বাধায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি ঢাকা থেকে যাওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দল। লালন শাহ সেতু চত্বর থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন বলে জানালেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, রবিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশের টোল প্লাজা থেকেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আমানের গাড়ি (ঢাকা মেটো-ঘ-১১-৪৭৬৫) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা টোল প্লাজায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেওয়া পুলিশের বাধা দেয়। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারা ঢাকার অভিমুখে ফেরত যান।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমাদের কুষ্টিয়া লালন শাহ সেতুতে পুলিশ অন্যায়ভাবে বাধা প্রদান করেছে। আমরা জাতিকে জানাতে চাই আবরার জাতীয় সম্পদ।”

আরও বলা হয়, “আমরা এসেছি কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করব। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে যাব। আমরা শহীদ আবরারের বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করব, তার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের পাঠিয়েছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা সংবিধানকে অমান্য করা হচ্ছে। আমাদের অধিকার পুলিশ কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের সংগ্রাম চলবে।”

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী রুমি ও সাধারণ সম্পাদক সোহবার উদ্দিন।

জেলা সভাপতি সাবেক সাংসদ মেহেদী রুমী বলেন, “আবরার ফাহাদের পরিবারে সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়ে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচিতে যোগ দিতেই নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় কোন কর্মসূচিই পালন করতে পারলাম না।”

বিএনপি প্রতিনিধি দল ফিরে আসার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আল বেরুনি ও ভেড়ামারা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলীম।

এর আগে ৯ অক্টোবর আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে ও কবর জিয়ারত করতে কুমারখালীতে যান বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে পুলিশের সহায়তায় দ্রুত ঢাকায় ফিরতে হয় তাকে।

এ দিকে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলীম বলেন, “যেহেতু গত ৯ অক্টোবর বুয়েট ভিসি আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটেছিল। সে কারণে নতুন করে যাতে তেমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে বিএনপি নেতাদের রায়ডাঙ্গা গ্রামে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।”

৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here