মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে প্রভিশন ছাড় পেল স্টক ডিলার

0
75

বাংলা খবর ডেস্ক: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্টক ডিলারদের ছাড় দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ৭০৪তম কমিশন সভায় এ ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান জানান, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্যহ্রাসজনিত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ সংক্রান্ত যে সুবিধা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পায়, স্টক ডিলাররাও প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একই ধরণের সুবিধা পাবেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির কমিশন সভায় প্রভিশন রাখার ক্ষেত্রে স্টক ডিলারদের এ ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানান সাইফুর রহমান।

কমিশন সভায় স্টক ডিলারদের প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য দু’টি পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১. মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে- সংরক্ষিত প্রভিশন = (মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের গড় ক্রয় মূল্য- চলতি বাজার মূ্ল্যে নীট সম্পদ মূল্যের ৮৫ শতাংশ)
২. বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রভিশন = (বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের গড় ক্রয় মূল্য – বেমেয়াদি ইউনিটের পুনঃক্রয় মূল্য)

এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি শাকিল রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, প্রভিশন ছাড় দেয়ার কারণে স্টক ডিলারদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। কারণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে অনেকেই লোকসানে আছেন। এই লোকসানের বিপরীতে মোটা অঙ্কের টাকা প্রভিশন রাখতে হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৯৬- এর ২০এ ধারার ক্ষমতা বলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন সংক্রান্ত ছাড় দেয় বিএসইসি। এ সংক্রান্ত বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের গড় ক্রয়মূল্য (সিপি) যদি তার ফেয়ার ভ্যালুর (এফভি) কম বা সমান হয় অথবা চলতি বাজার মূল্যে নির্ণীত নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) ৮৫ শতাংশের কম বা সমান হয় তাহলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ধারণকৃত মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তবে ইউনিটের গড় ক্রয় মূল্য (সিপি) যদি ফেয়ার ভ্যালুর (এফভি) বেশি অথবা চলতি বাজার মূল্যে নির্ণীত নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) ৮৫ শতাংশের বেশি হয় তাহলে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এ প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
১. ফেয়ার ভ্যালু (এফভি) যদি চলতি বাজার মূল্যে নির্ণীত নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) ৮৫ শতাংশের বেশি বা সমান হয় তাহলে ইউনিটের গড় ক্রয় মূল্য (সিপি) থেকে ফেয়ার ভ্যালু (এফভি) বাদ (বিয়োগ) দিয়ে যা থাকবে তাই প্রভিশন করতে হবে।
২. ফেয়ার ভ্যালু (এফভি) যদি চলতি বাজার মূল্যে নির্ণীত নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) ৮৫ শতাংশের কম হয় তাহলে- ইউনিটের গড় ক্রয় মূল্য (সিপি) থেকে চলতি বাজার মূল্যে নির্ণীত নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) ৮৫ শতাংশ বাদ (বিয়োগ) দিয়ে যা থাকবে তাই প্রভিশন করতে হবে।

বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে গড় ক্রয় মূল্য (সিপি) যদি সবশেষ পুনঃক্রয় মূল্য (আরপি) অথবা সমার্পণ মূল্যের (এসভি) সমান বা কম হয় তাহলে কোনো প্রভিশন রাখতে হবে না।

তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গড় ক্রয় মূল্য (সিপি) যদি সবশেষ পুনঃক্রয় মূল্য (আরপি) অথবা সমার্পণ মূল্যের বেশি হয় তাহলে গড় ক্রয় মূল্য থেকে সমার্পণ মূল্য বাদ দিয়ে যা থাকবে তাই প্রভিশন করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here