বাংলা খবর ডেস্ক: ‘ভুল চিকিৎসায়’ রোগী মৃত্যুর অভিযোগের সত্যতা যাচাই বা প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক নেতারা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবু সাঈদের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসা সেবার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এ দাবি উপস্থাপন করেন বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর জেলা শহরের মুন্সেফপাড়াস্থ খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরীসহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘ভুল চিকিৎসায়’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
চিকিৎসক নেতা আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, হাসাপতালে কোনো রোগী মারা গেলেই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এভাবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই বা তদন্ত না করে মামলা নিলে রোগীদের চিকিৎসা করবে কে? আমরা পুলিশ সুপারের কাছে পরবর্তীতে তদন্ত ছাড়া যেন কোনো চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা না নেয় সেই দাবি জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এ সময় আবু সাঈদের সঙ্গে জেলা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিকস্ বিভাগের সহাকারী রেজিস্ট্রার ডা. শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ ও মেডিকেল অফিসার ডা. মাফিদা আক্তার হ্যাপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর জেলা শহরের ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষিকা নওশিন আহমেদ দিয়া (২৯) প্রচণ্ড মাথা ব্যথা নিয়ে খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে যান। সেখানে ডা. ডিউক চৌধুরী, অরুনেশ্বর পাল অভি ও মো. শাহাদাত হোসেন রাসেল ‘ভুল ইনজেকশন এবং ওষুধ’ প্রয়োগ করলে দিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। এরপর ওই হাসপাতাল থেকে দিয়াকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
কিন্তু ঢাকায় নেয়ার পর চিকিৎসক জানান, কয়েক ঘণ্টা আগেই দিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর ডা. ডিউক চৌধুরী, অরুনেশ্বর পাল অভি ও শাহাদাত হোসেনে রাসেলের বিরুদ্ধে ‘ভুল চিকিৎসার’ অভিযোগ এনে মৃত দিয়ার বাবা শিহাব আহমেদ গেন্দু বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন।