হাজীগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি

0
89

বাংলা খবর ডেস্ক: চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের (খোকন বলি ও রাব্বি) মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে কিউসি টাওয়ারের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলির ওপর হামলা করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে খোকন বলির অনুসারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। পরে তারা একত্রিত হয়ে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বির ইন্টারনেট (ব্রডব্যান্ড লাইন) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্ভার রুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এরপর রাব্বির বসতঘর মনে করে একই বাড়ির আল আমিন কাশারির ভবনে ব্যাপক ভাংচুর চালায় খোকন বলির অনুসারীরা। পরবর্তীতে রাব্বির অনুসারীরা একত্রিত হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় চাঁদপুর-কুমিল্লা ও রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে চারদিকে ছুটতে থাকেন। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ করে দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি চালায়।

এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জীবন কাজী জানান, খোকন বলির ওপর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বির নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি মোবাইল ফোনে জানান, আমার নেতাকর্মীদের খোকন বলির লোকজন আগে মারধর করেছিল। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় খোকনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তার সূত্র ধরে খোকন বলির লোকজন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here