এক নুসরাত হত্যার বিচারে সমস্যার সমাধান হবে না : আইনমন্ত্রী

0
64

বাংলা খবর ডেস্ক: বহুল আলোচিত ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার বিচারের মাধ্যমে দেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসছে মন্তব্য করে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, এক নুসরাত হত্যার মামলা দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে না।

রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘নুসরাত হত্যার দ্রুত বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কি একজন নুসরাত হত্যার দ্রুত বিচার করে এ সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারব? আমার কাছে যদি জানতে চান, আমি বলব, না। এটা দিয়ে আমরা পারব না। কিন্তু একটা জিনিস এ বিচার দিয়ে আমরা করতে পারছি, তা হলো আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, এ সরকার আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছে নারী-পুরুষের সমতা, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। এটা হলো নুসরাত হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করার সব থেকে বড় ম্যাসেজ, সব থেকে বড় প্রতিপাদ্য।

আনিসুল হক বলেন, আমরা নারীদের এনকারেজ করতে চাই, তারা অপরাধের ব্যাপারে নালিশ করুক। আমরা ঠিক সেইভাবে সমাজের যেসব পুরুষ এসব অন্যায় করতে চায় তাদেরকেও একটা ম্যাসেজ দিতে চায়, এমন অন্যায় করলে সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, সমাজ মাফ করবে না।

আইনমন্ত্রী বলেন, নুসরাত হত্যা বিচারের মাধ্যমে আমরা কিছু কিছু প্লাস পয়েন্ট পেয়েছি। একটা ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি, সেটা হলো- মেয়র সাহেব অভিযোগ বক্স খুলছেন। এই অভিযোগ বক্স তো আগেও খোলা যেত। আগে কেউ খুলে নাই।

নুসরাত হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞ বিচারক ৮৮টি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিরাট দায়িত্ব পালন করেছে। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, তারা দ্রুত তদন্ত করেছে, তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে। আমি প্রসিকিউশনকে ধন্যবাদ জানাই, তারা এ মামলা করার ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতনভাবে দ্রুততার সাথে সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা বিচার প্রার্থী হিসেবে বিচার বিভাগের কাজে নিজেদের উপস্থাপন করেছি। সে কারণে একটা ন্যায় বিচার এসেছে এবং তথ্য উপাত্ত দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া মেনে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। এ বিচারের মাধ্যমে সবাই সচেতন হবেন। সমাজের সকলের যে কর্তব্য এসব অপরাধ বন্ধ করা, সেই কর্তব্যে জনগণ উদ্বুদ্ধ হবেন। সমাজ যদি দৃঢ় অবস্থান নেয় -এমন অপরাধ যারা করে তারা অসুস্থ, সমাজে তাদের কোনো জায়গা নেই। তাহলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালে ঢাকা কলেজ এবং ইডেন মহিলা কলেজ অংশ নেয়। বিচারকরা দু’দলকেই যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here