টরন্টো পিঠা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সুপ্তি

0
76

গত ২৪ নভেম্বর টরন্টোর রয়েল কানাডিয়ান লিজিয়ন হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘টরন্টো পিঠা উৎসব ও পিঠা প্রতিযোগিতা ২০১৯’। উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরি, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডলি বেগম, কবি ইকবাল হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল রুশদ ও কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাঈনুল খান।

পিঠা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন সায়কা সাইয়ারা সুপ্তি। তিনি পেয়েছেন ৯৬ পয়েন্ট। ৯৫ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন শায়লা রহমান ও তৃতীয় হয়েছেন লিনা ডি কস্টা; তিনি পেয়েছেন ৮৭ পয়েন্ট। এছাড়া সেরা দশের মধ্যে যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন- রুবি, সেলিনা নজরুল, ববিতা সেন, মৌসুমি, হৃদয়, রুনা বেগম ও গীতা পাল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ীদের যথাক্রমে ৫০০ ডলার, ৩০০ ডলার ও ২০০ ডলার নগদ পুরস্কার দেয়া হয়। বাকি সাতজনকে বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

পিঠা শিল্পী নির্বাচনে বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন- ব্যারিষ্টার জয়ন্ত সিনহা, রিয়েলটর ও সমাজ সেবক শংকর দে, রান্না বিশেষজ্ঞ হোসেন আহমেদ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মৌসুমি বড়ুয়া ও রান্না বিশেষজ্ঞ রফিকুল আলম।

সুন্দর স্টলের জন্য প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন লিমা (টুনা-টুনির পিঠা), দ্বিতীয় হয়েছেন ফারিয়া আহমেদ (বাংলা কৃষ্টি), এবং তৃতীয় হয়েছেন শাহীন রেজওয়ান (হৃদয় হরণ)। সুন্দর ষ্টল নির্বাচনে বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন- নাট্যজন আহমেদ হোসেন, জাহানারা নাসিমা ও ডলি ভূঁইয়া।

পুরস্কার বিতরণের আগে বিকেল ৫টায় প্রধান অতিথি কবি আসাদ চৌধুরি পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের কনভেনর রিফফাত নওরিন। তারপর একে একে বিশেষ অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।

পিঠা উৎসবরে পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও ছিল। শিপ্রা চৌধুরি পরিচালিত আনন্দধারার শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। পুঁথি পাঠ করেন হিমাদ্রী ও মুনিমা। কবিতা আবৃত্তি করেন হোসনে আর জেমি ও দিলারা নাহার বাবু। সংগীত পরিবেশন করেন- লাবণ্য তানজিলা, বীথিকা, মুক্তি প্রসাদ, ফারহানা জয়, শিরিন চৌধুরি ও নাফিয়া উর্মি। মনোমুগ্ধকর নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে তাপস দে-র শিক্ষার্থীরা। স্থান সংকুলান না হওয়ায় শত শত লোক দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন তানভির, ফারহানা ও ফারিহা রহমান।

পুরস্কারের পাশপাশি র্যাফেল ড্রতে পুরস্কার হিসেবে ৫০ ইঞ্চি টেলিভিশন প্রদান করা হয় কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাঈনুল খানের সৌজন্যে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here