বাংলা খবর ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির তাণ্ডবে পড়া দ্বীপটিতে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই। সেখানে যাওয়ার জন্য এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ।
সিএনএন জানায়, অগ্নি উদ্গিরণ শুরুর একদিন পরও হোয়াইট আইল্যান্ডের এই অগ্নিগিরি থেকে বাষ্প বেরোতে দেখা যায়।
এখনো সেখানে আটজন লোক নিখোঁজ রয়েছে। কিন্তু নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেও তল্লাশি জন্য দ্বীপটিতে যেতে পারেনি জরুরি সাহায্যদানকারী সংস্থাগুলো।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান দেশটির ডেপুটি কমিশনার জন টিমস। আরও জানান, বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন। কিন্তু দ্বীপটি সাহায্যকর্মীদের জন্য নিরাপদ কিনা এখনো তারা সিদ্ধান্ত আসতে পারেননি।
টিমস জানান, দ্বীপটি প্রাণের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিখোঁজ ব্যক্তিদের বন্ধু ও পরিবারের জন্য হতাশার। তবে তারা দ্বীপটিতে যাওয়া জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জিওনেট জানিয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বীপটিতে ফের অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা ৫০ ভাগ।
এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেনও জানান, অগ্ন্যুৎপাতের পর দ্বীপটিতে প্রাণের কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই। এখন তাদের মনোযোগ ক্ষতি মোকাবিলার দিকে।
এই অগ্ন্যুৎপাতে ১৩ জনের মতো নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে, বাকি আটজন এখনো নিখোঁজ।
স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২টা ১১ মিনিটে দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হোয়াইট আইল্যান্ডের আগ্নেয়গিরিটি হঠাৎ জেগে উঠে। এ সময় শতাধিক পর্যটক ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মাঝখানে দ্বীপটির অবস্থান। হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরিটি হোয়াকারি নামেও পরিচিত।