জানুয়ারি শেষে দুই সিটিতে ভোটের পরিকল্পনা

0
59

বাংলা খবর ডেস্ক: আসন্ন নতুন বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের পরিকল্পনা আঁটছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনের তফসিল চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। দুই সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি (১৮টি করে) ওয়ার্ডেও নতুন করে নির্বাচন হবে।

এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের কথা থাকলেও তা থেকে পিছিয়ে এসেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। আজ বুধবার কমিশন সভা করবে ইসি। কিন্তু এজেন্ডায় দুই সিটির বিষয়টি নেই। পরবর্তী বৈঠকে এ নির্বাচনের তফসিল ও ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হবে।

সূত্র জানায়, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এ জন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে।

এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর মঙ্গলবার বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি। কমিশন বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ১১ ডিসেম্বর কমিশন সভার পরবর্তী সভায় দুই সিটির তফসিল চূড়ান্ত হবে। দুই সিটির নির্বাচন ইভিএমে হবে।

জানা যায়, মূলত সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার জন্য ভোটের সময় কিছুটা পেছানো হয়েছে। কারণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল টিম।

সম্প্রতি দুই সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডের ৪৮ জন (সংরক্ষিতসহ) কাউন্সিলর জানুয়ারিতে নির্বাচন না করতে কমিশনে আবেদন করেছিলেন। তারা হুমকি দিয়েছেন যে, এসব ওয়ার্ডে নির্বাচন করলে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।

এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা নেই। তাদের আবেদন কমিশনে উপস্থাপন করেছিলাম। কমিশন জানিয়েছে, পরিষদ ভেঙে গেলে নির্বাচিতদের মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে ঢাকার দুই সিটির ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৮ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসাবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর দক্ষিণে একই বছরের ১৬ মে। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১। সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯টি এবং ভোটকক্ষ সাত হাজার ৫১৬টি।

দক্ষিণ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র এক হাজার ১২৪ এবং ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ৯৯৮টি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here