উড়োজাহাজে কারও মৃত্যু হলে যা করবেন

0
516

বাংলা খবর ডেস্ক: পবিত্র গ্রন্থ কুরআন মাজিদের একটি আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ শুধু কুরআনেই নয়, সব ধর্ম গ্রন্থেই মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এই মৃত্যু কার কখন, কোথায় হবে তা আমরা কেউ জানি না। মৃত্যু সুখের বিছানায়, বাসাবাড়ি, যানবাহনে কিংবা আকাশ পথেও হতে পারে। যদি উড়োজাহাজে ভ্রমণের সময় কারও মৃত্যু হয় তখন ফ্লাইট এটেনডেন্টের কি করা উচিৎ হবে? চলুন জেনে নেই কিছু জরুরি তথ্য।

১. যাত্রীর আকস্মিক মৃত্যু

যদি ফ্লাইটটি মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় কোনো যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হন ও ফ্লাইট এটেনডেন্ট যদি ভুঝতে পারেন ওই যাত্রীকে বাঁচানো কোনোভাবেই আর সম্ভব নয়, তবে ফ্লাইটটির ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তখন উচিৎ হবে গন্তব্যের দিগে এগিয়ে যাওয়া।

২. মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ

ফ্লাইট এটেনডেন্টদের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেন উড়োজাহাজে কেউ অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন। আর বিমানবন্দরগুলোতেও একটি মেডিকেল টিম ২৪ ঘণ্টা দায়িত্বে থেকেন যেন ফ্লাইট এটেনডেন্টরা যোগাযোগ করতে পারেন। তাই ফ্লাইট এটেনডেন্টদের প্রথম কাজ এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা।

৩. মরদেহটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া

যদি মাঝ আকাশে কারও মৃত্যু হয় তবে ফ্লাইট এটেনডেন্টদের কাজ হল মরদেহটি অন্য যাত্রীদের থেকে আলাদা জায়গায় সরিয়ে নেওয়া। কারণ মরদেহটি দেখলে অন্য যাত্রীরা ভয় পেতে পারেন।

৪. অন্য জায়গা না থাকলে কী করতে হবে?

যদি মরদেহটি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে তবে মরদেহটিকে তাঁর সিটেই শুইয়ে দিতে হবে। সিটের ওই মরদেহটির ওপর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

৫. পাইলটের মৃত্যু হলে সহকারি পাইলট দায়িত্ব নেবেন

কোনো কারণে মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু হলে তাঁর পাশে থাকা পাইলট সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি চালানোর দায়িত্ব নিয়ে নেবেন। তারপর বিষয়টি কন্ট্রোলরুমে জানাবেন।

৬. বিশেষ কম্পার্টমেন্টে মরদেহ রাখা

সিঙ্গাপুরের কিছু উড়োজাহাজে মরদেহ রাখার জন্য একটি বিশেষ কম্পার্টমেন্ট থাকে। কেউ মারা গেলে মরদেহটি সেখানে রাখতে হবে। কম্পার্টমেন্টটি এমনভাবেই বানানো হয় যেন অনায়াসে একটি মরদেহ রাখা যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here