বাংলা খবর ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর অফিসে নিজ দলের কর্মী মোহাম্মদ শুভকে মারধর করেছেন শাখা ছাত্রলীগ নেতা ইফরাতুল আলম পিটু। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের নিচ তলায় প্রক্টর অফিসের ভিতর এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শুভ ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন রেড সিগন্যালের (আরএস) কর্মী। অন্যদিকে মারধরকারী পিটু আরেক বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইনের নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রক্টর অফিসে আসেন চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। টিপুর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা পিটুসহ সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন।
এ সময় প্রক্টর অফিসে রেড সিগন্যালের নেতা-কর্মীরা প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে পিটুর সঙ্গে শুভর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পিটু শুভকে মারধর করেন।
শাটল অবরোধ, মেইন গেটে তালা
শুভকে মারধরের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী বিকেলের শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ এলাকায় আটকে দেন রেড সিগন্যালের নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে শাটল আটকে দেওয়ার খবরে চবির মেইন গেটে তালা দেন সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। দু’পক্ষের নেতা-কর্মীরাই হলে ফিরে যান।
পিটুকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
এদিকে নিজ দলের কর্মীকে মারধর করে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করায় ছাত্রলীগ নেতা ইফরাতুল আলম পিটুকে সংগঠন থেকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
সোমবার রাতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে মঙ্গলবার
প্রক্টর অফিসে মারামারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে তালা এবং শাটল অবরোধের ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রক্টরিয়াল বডির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চবি প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিকেলের ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত হয়নি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।