বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করবে সুইজারল্যান্ড

0
630

বাংলা খবর ডেস্ক: বাংলার রুপালি ইলিশের উপর নজর পড়েছে সুইজারল্যান্ডের। এ জন্য সুইস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘আগরওয়াল এজি’ বাংলাদেশ থেকে রুপালি ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সুইস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইলিশের পাশাপাশি দেশের মিঠা পানির রুই-কাতলা মাছ নেওয়ার বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এই আগ্রহের বিষয়টি অবহিত করেছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভূষিত করেছে। বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষ আকর্ষণীয় একটি দেশ। প্রতি বছর প্রচুর এশীয় পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করেন যারা ইলিশসহ মিঠা পানির মাছের বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখান। এ ছাড়া দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের নাগরিকরাও ইলিশের স্বাদ নিতে ব্যাপকভাবে আগ্রহী।

গত ৮ জানুয়ারি পাঠানো এক চিঠিতে জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. আলমগীর কবির উক্ত বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন।

তিনি ওই চিঠিতে লিখেছেন, সুইস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ঘনশ্যাম আগরওয়াল মিশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে বাংলাদেশ থেকে ইলিশের পাশাপাশি রুই ও কাতলা মাছ আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ থেকে এই মাছ যথাযথ গুণ ও মান বজায় রেখে রপ্তানি করতে পারবে, এমন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। সুইস এই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে স্থায়ী মিশন যে তথ্য দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে- প্রায় ৩৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষি ও খাদ্যপণ্য আমদানি করে থাকে সুইজারল্যান্ডে। প্রতিদিন এই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫০ টন পণ্য আমদানি করে। ‘ফাইনেস্ট ফুড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ স্লোগান সামনে রেখে তারা শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য-আমেরিকা এবং ডোমেনিয়ান রিপাবলিক থেকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বাছাইকৃত ভোগ্যপণ্য সুইজারল্যান্ডে আমদানি করে থাকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম। বিশ্বে উৎপাদিত ইলিশের ৭৫ ভাগই মেলে বাংলাদেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায়। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি আসে ইলিশ থেকে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়, যার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে বাংলার ইলিশ। এই মাছের চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। প্রতি বছর ইলিশ রপ্তানি করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here