কমছে তেলের উৎপাদন, বাড়ল দাম

0
568

বাংলা খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংকটে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমাতে ওপেকের প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার তারা এ ঘোষণা দেয়ার পরের দিনই বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম।

বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ০.৬ শতাংশ কমে গেলেও শুক্রবার প্রতি ব্যারেলে ৩৪ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার। বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই (ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট) ক্রুড অয়েলের দামও। শুক্রবার ০.৫ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫১ দশমিক ২৩ ডলারে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সহযোগী দেশগুলোর (ওপেক প্লাস নামে পরিচিত) একটি প্যানেল প্রতিদিন ছয় লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে সম্মত হয়।

বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ তেল উৎপাদন হয় ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোতে। তারা শিগগিরই পাঁচ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাতে রাজি হয়েছে। কমানোর পর তাদের উৎপাদন দাঁড়াবে প্রতিদিন প্রায় ১৭ লাখ ব্যারেল, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় দুই শতাংশ।

চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর বিশ্বে তেলের দাম কমে গেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ। আন্তর্জাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটের বিশ্লেষকরা জানান, চীনে তেলের বাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব এখনও বেশি। সেখানে জেট ফুয়েলের চাহিদা কমে গেছে, অর্থনীতিও পড়ন্ত। তবে এখন পর্যন্ত চীনের বাইরে চাহিদা সংকট ন্যূনতম পর্যায়েই রয়েছে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিনোপেকও উৎপাদন কমিয়েছে।

বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চলায় শিগগিরই চীনে তেলের চাহিদা অন্তত ২০ শতাংশ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, এই ২০ শতাংশ কমার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ব্যারেল।

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৩০ জন। বৃহস্পতিবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও প্রায় আড়াই হাজার। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এরই মধ্যে অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here