বাংলা খবর ডেস্ক: পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন সালমান। এর পেছনে পাঁচটি কারণও তুলে ধরেছে সংস্থাটি। তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সালমান শাহ’র পরিবার। সারা বাংলা
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিবিআই সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘটনায় তাদের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন।
সালমান শাহ’র মৃত্যুর সেগুলো হলো— চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে অতিরিক্ত অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা ও এর আগে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা ও জটিল সম্পর্ক এবং সন্তান না হওয়া।
পিবিআইয়ের এ প্রতিবেদন সালমান শাহের পরিবারর প্রত্যাখান করবে বলে জানিয়েছেন তার মামা আলমগীর কুমকুম। তিনি বলেন, ‘এ মামলার যে রাজসাক্ষী রুবি সুলতানা, তিনি সামিরার মামী। তিনি তো বলেছেন সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলেকে দিয়ে সামিরা পুটলি সরিয়েছে। ওই পুটলিতে কী ছিল? তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না? তার পর্যন্ত কি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে পিবিআই? আমরা পুনঃতদন্ত চাইব।’
আলমগীর কুমকুম আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জায়গায় সামিরা বাবা কেন আমার সঙ্গে গেল? আমাকে ওখানে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তর কেন উনি দিলেন? কেন সালমানের লাশ যেখানে পাওয়া গেল, সে ফ্যানের একটা ব্লেডও বাঁকা হয়নি? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।’
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্র আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস, নিজস্বতার কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন, যার অধিকাংশই ছিল সুপারহিট।