বাংলা খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাস বিস্তারের মূলকেন্দ্র উহান ছাড়া হুবেই প্রদেশের বাকি অংশে নতুন করে কোনো রোগী শনাক্ত হননি। এই প্রাদুর্ভাবের বিস্তারের পর থেকে এই প্রথম গত ২৪ ঘণ্টায় এমন ঘটনা ঘটেছে। দেশের অন্য অংশগুলোতে যাতে এই ভাইরাস না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার উহানে নতুন ১২৬ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া প্রদেশটিতে নতুন করে কোনো রোগী শনাক্ত হননি। হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান।- খবর রয়টার্সের
শুক্রবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এমন খবর দিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের স্কুলে গত কয়েকদিন ধরে নতুন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। কাজেই করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক অবস্থান দিকে যেতে শুরু করেছে চীন বলে এ পরিস্থিতি এমন আভাস দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত ২৯ দিনে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় কিংগাই প্রদেশে নতুন কোনো কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া যায়নি। কাজেই ১১ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে দোলাচলে আছে কর্তৃপক্ষ।
আলাদাভাবে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গুইজহাউতে গত ১৮ দিনে করোনা রোগী শনাক্ত হননি। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে তারা জানিয়েছে, আগামী ১৬ মার্চ তারা স্কুল খুলে দেবে।
হুবেই প্রদেশের বাইরে ১৭ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। এতে বৃহস্পতিবার চীনের মূল ভূখণ্ডে ১৪৩ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে। একদিন আগে যে সংখ্যাটা ছিল ১৩৯ জন। আক্রান্ত নতুন ১৭ জনের মধ্যে একজন বাদে সবাই চীনের বাইরে থেকে আসা। ১১ জন এসেছেন গাংসুতে, চারজন বেইজিংয়ে ও সাংহাইতে।
গাংসুর প্রাদেশিক রাজধানী লানজুতে ইরান থেকে আসা ৩১১ যাত্রীকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। গত মাসে গাংসু হচ্ছে প্রথম প্রদেশ, যেখানে নতুন রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে আসে। বেইজিংয়ের চারজনই ইতালি থেকে আসা।
চীনে যখন করোনাভাইরাস রোগী কমে আসছে, তখন সবার মনোযোগ চলে যাচ্ছে বিদেশ থেকে আসা রোগীদের ওপর। বেইজিং, সাংহাই ও গুয়াংডোং কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে আসা লোকজনকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আশি হাজার ৫৫৩ জনে। আর মারা গেছেন তিন হাজার ৪২ জন। যা আগের দিনের তুলনায় ৩০ জন বেশি। হুবেই প্রদেশে মারা গেছেন ২৯, যাদের মধ্যে ২৩ জনই উহানের।