মুক্তির পর খালেদা জিয়া যা করতে পারবেন, যা পারবেন না

0
77

বাংলা খবর ডেস্ক: দুই শর্তে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পেলেন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে সাজা স্থগিত থাকায় অন্যান্য বন্দির মতো সাধারণ চলাচলের সুযোগ পাবেন না তিনি। শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ায় নিজ বাড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে তাকে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‌প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় বলা আছে, ‘কোনও ব্যক্তি কোনও অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে সরকার যেকোনও সময় বিনা শর্তে বা দণ্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয় সেই শর্তে তার দণ্ড কার্যকর রাখা স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দণ্ড বা দণ্ডের অংশ বিশেষ মওকুফ করতে পারবেন।’

আইনের ওই ধারা অনুসারে সরকার খালেদা জিয়াকেও দুটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে। শর্ত দুটির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত থাকাবস্থায় তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) যেতে পারবেন। এছাড়া দণ্ড স্থগিত থাকাকালীন খালেদা জিয়া চিকিৎসা বা অন্য কোনও প্রয়োজনে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

‌এদিকে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, সরকার যে ধারায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করেছেন সেখানে দুটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। তাই তিনি চাইলেই দণ্ড স্থগিত থাকা অন্যান্য আসামির মতো চলাচল করতে পারবেন না। সরকারের বেঁধে দেওয়া দুটি শর্তের মধ্যেই তার সবকিছু সীমাবদ্ধ থাকবে।

সাজা স্থগিত থাকাবস্থায় খালেদা জিয়া পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তায় থাকবেন কিনা জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সাজা স্থগিত থাকাবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তার কোনও বিধান আইনে নেই। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তার (খালেদা জিয়া) জন্য পুলিশি নিরাপত্তা রাখা হবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারায় আসামিদের দণ্ড স্থগিতের বিষয়ে সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হলেও পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো একই ধারার ২, ৩, ৪, ৪ (ক), ৫, ৫ (ক) এবং ৬ উপধারায় বর্ণিত হয়েছে।

এরমধ্যে ‘ ৪০১ ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে, যখন কোনও দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয় তখন যে আদালত ওই দণ্ড দিয়েছিলেন বা অনুমোদন করেছিলেন সেই আদালতের প্রিজাইডিং জজকে সরকার ওই আবেদন মঞ্জুর করা কিংবা মঞ্জুর করতে অস্বীকার করা উচিত কিনা, সে সম্পর্কে তার মতামত ও মতামতের কারণ বিবৃত করতে এবং এই বিবৃতির সঙ্গে বিচারের নথির নকল অথবা যে নথি বর্তমানে আছে সেই নথির নকল পাঠানোর নির্দেশ দেবেন।

ফলে ৪০১ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানাবেন সরকার।

আবার, ৪০১ ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, যেসব শর্তে কোনও দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করা হয়েছে তার কোনোটি পালন করা হয়নি বলে মনে করলে সরকার স্থগিত বা মওকুফের আদেশ বাতিল করবেন এবং অতঃপর যে ব্যক্তির দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করা হয়েছিল সে মুক্ত থাকলে যেকোনও পুলিশ অফিসার তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন এবং তার দণ্ডের অনতিবাহিত অংশ ভোগ করার জন্য তাকে জেলে পাঠানো যাবে।

এই উপধারা অনুযায়ী সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির ক্ষেত্রে যে দুটি শর্ত দিয়েছে তা যথাযথ পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি করবে। শর্ত ভঙ্গ হলে বিনা পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতারের সুযোগ থাকছে সরকারের হাতে। সেক্ষেত্রে সাজার বাকি অংশ ভোগ করানোর জন্য তাকে কারাগারে পাঠাতে পারবে সরকার।

একই ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, সেই শর্তে এই ধারার অধীন দণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করা হয়, যা সে ব্যক্তির দণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করা হয় সেই ব্যক্তি পূরণ করবে অথবা শর্ত এমন হবে যা পূরণে সে স্বাধীন থাকবে।

এই উপধারার (৪ক) অংশে আরও বলা হয়েছে, এই বিধি বা অন্য কোনও আইনের কোনও ধারা অনুসারে কোনও ফৌজদারি আদালত কোনও আদেশ দিলে তা যদি কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করে অথবা তার বা তার সম্পত্তির ওপর দায় আরোপ করে তাহলে উপযুক্ত উপধারাসমূহের বিধান এই আদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

ধারাটির ৫ উপধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা প্রদর্শন, দণ্ড স্থগিত রাখা বা কার্যকর করায় বিলম্ব ঘটানো বা মওকুফ করার অধিকারে এই ধারার কোনও কিছু হস্তক্ষেপ করবে বলে মনে করা যাবে না।

এই উপধারার (৫ক) অংশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কোনও শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা মঞ্জুর করলে ওই শর্ত যে প্রকৃতিরই হোক না কেন তা এই আইন অনুসারে কোনও উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা আরোপিত শর্ত বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী বলবৎযোগ্য হবে।

এবং ৪০১ ধারার ৬ উপধারা অনুযায়ী, সরকার সাধারণ বিধিমালা বা বিশেষ আদেশ দ্বারা দণ্ড স্থগিত রাখা এবং দরখাস্ত দাখিল ও বিবেচনার শর্তাবলী সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারবেন।’

দুই শর্তে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পেলেন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে সাজা স্থগিত থাকায় অন্যান্য বন্দির মতো সাধারণ চলাচলের সুযোগ পাবেন না তিনি। শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ায় নিজ বাড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে তাকে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‌প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় বলা আছে, ‘কোনও ব্যক্তি কোনও অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে সরকার যেকোনও সময় বিনা শর্তে বা দণ্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয় সেই শর্তে তার দণ্ড কার্যকর রাখা স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দণ্ড বা দণ্ডের অংশ বিশেষ মওকুফ করতে পারবেন।’

আইনের ওই ধারা অনুসারে সরকার খালেদা জিয়াকেও দুটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে। শর্ত দুটির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত থাকাবস্থায় তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) যেতে পারবেন। এছাড়া দণ্ড স্থগিত থাকাকালীন খালেদা জিয়া চিকিৎসা বা অন্য কোনও প্রয়োজনে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

‌এদিকে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, সরকার যে ধারায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করেছেন সেখানে দুটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। তাই তিনি চাইলেই দণ্ড স্থগিত থাকা অন্যান্য আসামির মতো চলাচল করতে পারবেন না। সরকারের বেঁধে দেওয়া দুটি শর্তের মধ্যেই তার সবকিছু সীমাবদ্ধ থাকবে।

সাজা স্থগিত থাকাবস্থায় খালেদা জিয়া পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তায় থাকবেন কিনা জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সাজা স্থগিত থাকাবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তার কোনও বিধান আইনে নেই। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তার (খালেদা জিয়া) জন্য পুলিশি নিরাপত্তা রাখা হবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারায় আসামিদের দণ্ড স্থগিতের বিষয়ে সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হলেও পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো একই ধারার ২, ৩, ৪, ৪ (ক), ৫, ৫ (ক) এবং ৬ উপধারায় বর্ণিত হয়েছে।

এরমধ্যে ‘ ৪০১ ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে, যখন কোনও দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয় তখন যে আদালত ওই দণ্ড দিয়েছিলেন বা অনুমোদন করেছিলেন সেই আদালতের প্রিজাইডিং জজকে সরকার ওই আবেদন মঞ্জুর করা কিংবা মঞ্জুর করতে অস্বীকার করা উচিত কিনা, সে সম্পর্কে তার মতামত ও মতামতের কারণ বিবৃত করতে এবং এই বিবৃতির সঙ্গে বিচারের নথির নকল অথবা যে নথি বর্তমানে আছে সেই নথির নকল পাঠানোর নির্দেশ দেবেন।

ফলে ৪০১ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানাবেন সরকার।

আবার, ৪০১ ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, যেসব শর্তে কোনও দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করা হয়েছে তার কোনোটি পালন করা হয়নি বলে মনে করলে সরকার স্থগিত বা মওকুফের আদেশ বাতিল করবেন এবং অতঃপর যে ব্যক্তির দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করা হয়েছিল সে মুক্ত থাকলে যেকোনও পুলিশ অফিসার তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন এবং তার দণ্ডের অনতিবাহিত অংশ ভোগ করার জন্য তাকে জেলে পাঠানো যাবে।

এই উপধারা অনুযায়ী সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির ক্ষেত্রে যে দুটি শর্ত দিয়েছে তা যথাযথ পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি করবে। শর্ত ভঙ্গ হলে বিনা পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতারের সুযোগ থাকছে সরকারের হাতে। সেক্ষেত্রে সাজার বাকি অংশ ভোগ করানোর জন্য তাকে কারাগারে পাঠাতে পারবে সরকার।

একই ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, সেই শর্তে এই ধারার অধীন দণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করা হয়, যা সে ব্যক্তির দণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করা হয় সেই ব্যক্তি পূরণ করবে অথবা শর্ত এমন হবে যা পূরণে সে স্বাধীন থাকবে।

এই উপধারার (৪ক) অংশে আরও বলা হয়েছে, এই বিধি বা অন্য কোনও আইনের কোনও ধারা অনুসারে কোনও ফৌজদারি আদালত কোনও আদেশ দিলে তা যদি কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করে অথবা তার বা তার সম্পত্তির ওপর দায় আরোপ করে তাহলে উপযুক্ত উপধারাসমূহের বিধান এই আদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

ধারাটির ৫ উপধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা প্রদর্শন, দণ্ড স্থগিত রাখা বা কার্যকর করায় বিলম্ব ঘটানো বা মওকুফ করার অধিকারে এই ধারার কোনও কিছু হস্তক্ষেপ করবে বলে মনে করা যাবে না।

এই উপধারার (৫ক) অংশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কোনও শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা মঞ্জুর করলে ওই শর্ত যে প্রকৃতিরই হোক না কেন তা এই আইন অনুসারে কোনও উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা আরোপিত শর্ত বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী বলবৎযোগ্য হবে।

এবং ৪০১ ধারার ৬ উপধারা অনুযায়ী, সরকার সাধারণ বিধিমালা বা বিশেষ আদেশ দ্বারা দণ্ড স্থগিত রাখা এবং দরখাস্ত দাখিল ও বিবেচনার শর্তাবলী সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারবেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here