ব্যাঙ্কের প্রতিটা সার্কেলের মুখ্য জেনারেল ম্যানেজারকে এই এ সব বিষয় উল্লেখ করে চিঠি পাঠিয়েছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তর ব্যাঙ্ক এসবিআই। এই ধরনের কোনও পোস্ট চোখে পড়লেই অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া আছে সেই চিঠিতে।
এনডিটিভি জানায়, চিঠি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাঙ্কের এক সূত্র বলেছে, “আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি কিছু সোশাল মিডিয়ার পোস্টে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের শাখা ও লেনদেন আদৌ কাজ করবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমন অনেক পোস্ট নজরে এসেছে, যেখানে উল্লেখ আছে- করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ ব্যাঙ্কের কাজ। খুব কম পোস্টেই এই বিপর্যয়ের সময়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের অবদানকে কুর্নিশ জানানো হয়েছ।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর দাবি, “একটা গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধান আমাদের নানা অধিকার দিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বাক-স্বাধীনতা। সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারায় এই প্রসঙ্গে উল্লেখ আছে। ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা সেই ধারার পরিপন্থী। সংস্থার প্রতি মানহানিকর কোনও মন্তব্য কিংবা সংস্থা-বিরোধী অবস্থান না নিয়ে, কর্মীদের দুর্দশার কথা সোশাল মাধ্যমে লেখাই যায়।”
দেশটির ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের সংস্থা ইউএফবিইউ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছে, “একমাত্র এসবিআই এই ধরনের কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছে কর্মীদের।”
এ বিষয়ে কলকাতা সার্কেলের জিএম রঞ্জন মিশ্র বলেছেন, “আমাদের নির্দিষ্ট সোশাল মিডিয়া বিধি আছে। কর্মীদের সেটা মেনে চলতেই হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ আছে।”
সূত্র- এনডিটিভি