বাংলা খবর ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য দেশে এক লাখ কিট ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এছাড়া আরো কিট আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস ভবনে সম্মেলন কক্ষে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশকে কীভাবে রক্ষা করতে পারি সেজন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যার যা দায়িত্ব তা পালন করতে হবে।
তিনি জানান, এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। এছাড়া টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো হয়েছে ১৪-১৫ জায়গায়।
তিনি বলেন, প্রচুর পিপিই তৈরি হচ্ছে, মাস্কও তৈরি হচ্ছে।
অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৭ জনে। এদের মধ্যে আরও চারজন মারা গেছেন।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের পর দুপুর ২টার দিকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশে নতুন করে আজ ৩৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত এবং তিন জন মারা গেছেন।
সংখ্যা উল্টোপাল্টা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একটি বৈঠক চলার সময় তিনি ফোন করেছিলেন। আইইডিসিআর তাকে তথ্য দিয়েছিলেন। সেখানে একই নাম দুবার লেখা হয়েছিল, আলাদা নামে। সে কারণেই এই সমস্যা। আমরা যে তথ্য দিয়েছি সেটাই সঠিক।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ১২৩ জন। মারা গেছেন ১২ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত মরণঘাতী এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৭১২ জন। মারা গেছেন ৬৯ হাজার ৪৫৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৬ জন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ক্রমান্বয়ে ১১ এরপর ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।