লকডাউন, কারফিউ শিথিল হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

0
88

বাংলা খবর ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে লকডাউন, কারফিউ-এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করার বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) জেনেভায় করোনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, এমনটি করা হলে হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। প্রাণঘাতী রূপে আবার জেকে বসতে পারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছুঁইছুঁই। আর প্রাণ গেছে লাখেরও বেশি।

শুরুতে চীনকে আক্রমণ করে করোনা। পরে সর্বোচ্চ আঘাত হানে ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনে। তবে দেশ দুটিতে করোনার বিস্তার আগের তুলনায় কমেছে। এই অবস্থায় আরোপিত বাধানিষেধ শিথিল করার কথা ভাবছে ইতালি ও স্পেন।

জেনেভায় করোনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ইউরোপের কিছু দেশে (স্পেন, ইতালি) এই মহামারি আগের তুলনায় কিছুটা শ্লথগতিতে বিস্তার করছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন, কারফিউ এর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করলে এই সংক্রমণের ভয়াবহ পুনরুত্থান ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে দেশগুলোকে সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গতকাল স্পেনে ৬০৫ জন মারা গেছেন করোনায় এবং এটি গত ১৭ দিনের হিসাবে সবচেয়ে কম সংখ্যক প্রাণহানির রেকর্ড। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৩ জন।

তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সোমবার থেকে স্পেনে নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও মঙ্গলবার থেকে কিছু সংখ্যক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইতালি। দেশটিতে গত ১২ মার্চ থেকে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

ইতালিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন। আর মারা গেছে ১৮ হাজার ৮৪৯ জন (এ পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ)।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, করোনার কারণে আরোপিত বাধানিষেধ কীভাবে শিথিল করা যায় বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে হু। তবে এতে তাড়াহুড়ো করা মোটেও ঠিক হবে না।

ড. টেড্রস বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বাধানিষেধ তুলে নেয়া হলে (সংক্রমণের) মারাত্মক পুনরুত্থান ঘটবে। যথাযথভাবে এর ব্যবস্থাপনা না করা গেলে অবস্থা হবে ভয়ঙ্কর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here