নিউজ ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৭ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘গুলির খোসাসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।’
জানা যায়, গত রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনে পরপর দু’টি গুলি করা হয়। ভবনের তৃতীয় তলার প্রকৌশল অধিদপ্তরটি নির্বাহী প্রকৌশলী কক্ষের জানালা ভেদ করে গুলি ভেতরে প্রবেশ করে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
তারা মনে করছেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে তিন কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য এ গুলি বর্ষণ হতে পারে।
মুন্সীগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ৮টি প্যাকেজে প্রায় ৭ কোটি টাকার সাবমার্সিবল পাম্পসহ নলকূপ ও ওয়াশব্লক নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কাজগুলোতে ১০ জন ঠিকাদার অংশ নিয়েছেন। তবে কী কারণে এ গুলি করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তিনি তার কক্ষেই ছিলেন। জানালার বরাবর বা কাছাকাছি থাকলে গুলি তার গায়ে লাগতো বলেও আশঙ্কা তার।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য কোয়ার্টার না থাকায় অফিস ভবনের তৃতীয় তলার এক কক্ষে রাত্রি যাপন করছেন তিনি। তার অফিস থেকে হাত ধোয়ার বেসিন, ব্লিচিং পাউডার ও সাবান বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। এছাড়া জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ত্রাণ কার্যক্রমের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করতে পরিবার রেখেই সেখানে থেকে কাজ করছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, ‘করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেও মূল শহরের ভেতরে এ ঘটনা পুলিশকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছে। পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এজাহার দেওয়া হলে কাজ করা সহজ হতো।’
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তার কক্ষে গুলির এ ঘটনা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ ঘটনার সঙ্গে যার ছেলে-মেয়েই জড়িত থাকুক না কেন-তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এখন লিখিত অভিযোগ পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।’
