৫৩ দিন ধরে নিখোঁজ কাজল রোববার ভোরের দিকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিপি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। মেহেরপুরের সন্তান কাজল গেলো জাতীয় নির্বাচনে জাসদ নেতা হিসাবে ১৪ দল থেকে মনোনয়নও চেয়েছিলো।
এই আসনের বর্তমান এমপি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ফরহাদ হোসেন দোদুল, সরকারের জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। মনোনয়ন না পেলেও কাজল নির্বাচনে দোদুলের হয়ে কাজ করে। প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে কাজলকে নিজের ভাইয়ের মতোই দেখেন, সম্মান করেন, এলাকার সন্তান হিসাবে কাজলকে ভালো জানেন।
৯০ এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাজল বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা ছিল, পরে সে জাসদে ইনু- শিরিন গ্রুপে যোগ সেয়।
ছাত্র জীবন শেষ করে সে ফটোগ্রাফার হিসাবে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করে। দীর্ঘ দিন কাজল সমকালে কাজ করেছে। ক্যামেরায় তার হাত খুব ভালো ছিল। আওয়ামী বিটে সে কাজ করতো।
মাঝে কিছুদিন মিরপুরের এক এমপির মিডিয়া দেখাশুনা করেছে কাজল।
পরে সে দৈনিক পক্ষকাল নামে একটি প্রিন্ট মিডিয়ার পত্রিকা বের করে। কাজল নিজেই ছিল এই পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক।
সদা হাসি,খুশি কাজল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের কাছে খুবই প্রিয় একজন মানুষ। দলের এমন কোনও নেতা নেই যার ছবি কাজল তোলেনি। তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী, দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত।
যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়াকে নিয়ে সিরিজ নিউজ করতে গিয়ে কাজল প্রভাবশালী একটি মহলের রোষানলের স্বীকার হয়, সেই সময়ে কাজলের নামে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাও হয়। এর পর দু একদিন বাদেই, ফার্মগেটের পাশে কাজল নিজ অফিসের নিচ থেকে অপহৃত হয়।
সেই কাজল আজ নিজ দেশেই অনুপ্রবেশকারী !!
জেলখানাতে কাজলের নতুন জীবন শুরু হলো।
ভালো থাকো কাজল, অলওয়েজ শুভ কামনা !!