এক মাস পর মসজিদে মুসল্লীরা: আদায় করলেন জুমার নামাজ

0
140

বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে মসজিদে নামাজ পড়ার ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লীরা। এক মাস পর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আদায় হয় নামাজ। দোয়া করা হয়েছে করোনা মুক্তি চেয়ে।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে জাতীয় মসজিদটিতে দেখা যায়, প্রবেশের আগে সবার হাত ধোয়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে সবাই মাস্ক পরছেন কিনা সেটা নিশ্চিত হয়েই মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। আর নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে করোনার সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়াতে মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করার নির্দেশ দেয়ার পর শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে নামাজ হতো। এজন্য মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে ৫ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারতেন। কিন্তু সম্প্রতি এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর এটাই প্রথম জুমা।

উল্লেখ , গত ২৩ এপ্রিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা এবং রমজান মাসের তারাবির জামাত সীমিত আকারে আদায়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) জোহরের ওয়াক্ত থেকে মসজিদে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অনুমতি দেয় সরকার।

পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেসব শর্ত মেনে মসজিদে যেতে হবে-

১. মসজিদের কার্পেট বিছানো যাবে না।

২. মসজিদের সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৩. পাঁচ ওয়াক্তের নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৪. মুসল্লিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান পানি রাখতে হবে।

৫. আগত মুসল্লীরা অবশ্যই মাস্ক পড়ে মসজিদে আসতে হবে।

৬. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করতে হবে।

৭. প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৮. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দ্রুত অর্থাৎ তিন ফুট পর পর দাঁড়াতে হবে। প্রতি এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৯. শিশু, বয়স্ক ও যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি মসজিদে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানা সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

১১. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

১২ সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here