স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের অনুরোধ

0
110

বাংলা খবর ডেস্ক:
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাছের মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানিয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এ সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলেমারা পবিত্র রমজান মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে থেকে কিছু শর্তে মসজিদে সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামাতে নামাজের অনুমতি দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যে (আজ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উন্মুক্ত স্থানে বড় পরিসরে ঈদের জামায়াত পরিহারের নির্দেশনা দিয়ে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী ঈদের জামাত আয়োজনের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এর মধ্যে রয়েছে ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, মসজিদের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে আসা এবং অজুর সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আসা মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে ও এক কাতার অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহারের অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা হয়েছে। খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here