বাংলা খবর ডেস্ক:
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় তারকা মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশকে অনেক স্মরণীয় জয় উপহার দিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু নিজের দোষেই আজ তিনি জাতীয় দলের বাইরে। ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর টাইগারদের শিবিরে আর দেখা যায়নি আশরাফুলকে। হয়ত আর কখনো দেখাও যাবে না।
২০১৩ সালে আশরাফুলের বিরুদ্ধে বিপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার প্রমাণ মেলে। ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। নন্দিত ক্রিকেটার থেকে পরিণত হন নিন্দিত ক্রিকেটারে। তার জীবনে নেমে আসে আঁধার।
হতাশায় ভরে ওঠে আশরাফুলের দিনরাত। তিনি এতটাই ভেঙে পড়েন যে আত্মহত্যার কথাও ঘুরপাক খেতে থাকে তার মনে।
সেসব দুর্বিষহ দিনের কথা বৃহস্পতিবার একটি ইউটিউব চ্যাট শো-তে বর্ণনা করেছেন আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘কাল আমাকে একজন বলছিলেন, করোনার কারণে আমরা এখন সবাই ঘরবন্দি। আপনার কাছে কেমন লাগছে? আমি বললাম, আমার কাছে ততটা কঠিন মনে হচ্ছে না। কারণ, আমি এর থেকেও কঠিন সময় কাটিয়েছি আমার ওই নিষেধাজ্ঞার সময়ে। এমনও আমার মাথার মধ্যে এসেছিল যে আমি বেঁচে থাকবো কিনা, সুইসাইড করবো কিনা। এই ধরনের চিন্তাও আমার মধ্যে এসেছে।’
নিষিদ্ধ হওয়ার পর লোকলজ্জার ভয়ে ঘর থেকে বের হওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিলেন আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘আমি কীভাবে মানুষের কাছে মুখ দেখাব, পরিবার কীভাবে থাকবে। আমি এটা নিয়ে খুব আপসেট ছিলাম।’
২০১৮ সালে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠে যায়। এর আগেই অবশ্য শর্তসাপেক্ষে ঘরোয়া লীগ খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন। নিজের কঠিন সময়গুলো কীভাবে কাটিয়ে উঠলেন? আশরাফুল বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি ২০১৩ সালে হজ্জ করতে গেলাম। এরপর আমার দুলাভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করলাম। উনি কিছু পজিটিভ কথা বলেছিলেন। ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সুজন ভাই (বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন), উনারা আমাকে প্রচুর সাপোর্ট করেছেন। বলতেন, তোমার এখন বাজে সময় যাচ্ছে। সময়ই তোমাকে সব চেঞ্জ করে দেবে।’