বাংলা খবর ডেস্ক:
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারে গড় পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। এবার তা বেড়ে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৩০৪ জন বেশি পরীক্ষার্থী ফলের সর্বোচ্চ এই সূচক অর্জন করেছে। গতবার মোট এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন।
আলাদাভাবে শুধু নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মাদ্রাসা দাখিলে ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং কারিগরির বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় পাসের হার ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
শিক্ষামন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ফলপ্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলাফলের কপি তুলে দেন।
এবার কেবল ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।
যেসব পরীক্ষার্থী নির্ধারিত নিয়মে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে প্রাক্নিবন্ধন করেছে, তাদের মুঠোফোন নম্বরে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ফল জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানানো হবে না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।তবে পরীক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, ঢাকা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট এবং এসএমএসে ফল জানতে পারবে। এসএমএসে দু’ভাবে ফল জানানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
একটি হচ্ছে, ফল প্রকাশের পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে ফল চলে যাবে। এই পদ্ধতিতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ঝক্কিতে পড়ে বলে অভিযোগ আছে।
এ কারণে এবার ফল প্রকাশের পরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএসে শিক্ষার্থীর বাসায় মোবাইল ফোনে তা (পরীক্ষার ফল) পৌঁছানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের রোলনম্বর প্রাক-নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ মে এই প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এতে তেমন একটা সাড়া মেলেনি। শুক্রবার বেলা ১টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ১২ দিনে মাত্র ৫৫ শতাংশ প্রাক-নিবন্ধন হয়েছে। সারা দেশে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। কিন্তু ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩১টি মোবাইল নম্বর প্রাক-নিবন্ধন হয়েছে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, একই রোলের বিপরীতে একাধিক মোবাইল ফোনের নিবন্ধন আছে। সেই হিসাবে মোট পরীক্ষার্থীর অর্ধেকও নিবন্ধন করেনি।