সিরিজ জয় বাংলাদেশের

0
109

বাংলা খবর ডেস্ক:
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাত উইকেট হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। এটি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয় তামিম-সাকিবদের।

মিরপুরে এদিন সিরিজ জিততে প্রয়োজন ছিল ১৪৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া সেই লক্ষ্যে হাফ সেঞ্চুরি করে জয়ের ভীত গড়েদেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিম ৫০ করে ফিরলেও ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ১৬ ওভার চার বল হাতে রেখে।

এর আগে আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিলেন লিটন। বিপরীতে দেখেশুনে খেলছিলেন তামিম।
তাই তাদের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসা ৩০ রানের ২২-ই এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাট করা লিটন অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আকিল হোসেনের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার। যাওয়ার আগে ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ২২ রান।

তার বিদায়ের পর ওয়ান ডাউনে নামা শান্তর শুরুটাও ভালো ছিল। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটসম্যান দারুণ কিছু শট খেলে দলের রান বাড়িয়ে নিয়েছেন। যদিও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জেসন মোহাম্মদের শিকার হওয়ার হওয়ার আগে ২৬ বলে ২ বাউন্ডারিতে খেলে যান ১৭ রানের ইনিংস। এরপরই তামিমের সঙ্গে জ্বলে উঠেছে সাকিবের ব্যাট। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকে। জয় থেকে মাত্র ৪০ রান দুরে আউট হন তামিম। আউট হওয়ার আগে তুলেনেন ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ সেঞ্চুরি। তামিমের আউটের পর মুশফিকুর রহীমকে সঙ্গে জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪৩রানে। মুশফিক করেন অপরাজিত ৯ রান।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানে আটকে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। ৯.৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল মিরাজ। আর সাকিব ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তাদের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের (২/১৫) চমৎকার বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ানরা ৪৩.৪ ওভারে অলআউট হয় ১৪৮ রানে।

মোস্তাফিজের পাঁচ বলেই এক ওভার!

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে হয়ে গেল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

সফরকারীদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল স্বাগতিকরা।

শুক্রবার ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর বোলিংয়ে এসে অন্যরকম একটি রেকর্ড গড়লেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।


যদিও মোস্তাফিজের এ রেকর্ডে সবটুকু অবদান আম্পায়ার গাজী সোহেলের। তার ভুলে ৫ বলেই একটি ওভার শেষ করেন মোস্তাফিজ।

ঘটনাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ইনিংসের ৪০তম ওভারে। এ সময় মাত্র ১২০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা ক্যারিবীয়রা। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে ফেলতে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। পপিং ক্রিজে ছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

একটু মনোযোগ হারিয়ে তৃতীয় বলটি নো করে বসেন মোস্তাফিজ। আম্পায়ার গাজী সোহেল ফ্রি-হিটের সংকেত দেন।

কিন্তু ফ্রি-হিট বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি পাওয়েল। কিন্তু ফ্রি-হিটের ডেলিভারি কোমর উচ্চতায় করায় ফের নো-এর সংকেত দেন আম্পায়ার।

ফলে আরও একটি ফ্রি-হিট পায় ক্যারিবীয়রা। এবার ২ রান নেন পাওয়েল। সে হিসাবে প্রথম তিন বলে ৪ রান নেন পাওয়েল। বাকি থাকার কথা তিন বল। মোস্তাফিজ ২ বল করেন। কোনো রান নিতে পারেননি পাওয়েল। শেষ বলে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে পারবেন কী পাওয়েল! কিন্তু না, সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওভার শেষের ঘোষণা দেন আম্পায়ার।

প্রেসবক্সে উপস্থিত স্কোরাররা নিশ্চিত করেছেন, আম্পায়ার গাজী সোহেলের ভুল গণনায় সে ওভারে পাঁচটি বলই করেছেন মোস্তাফিজ।

আম্পায়ারের এমন ভুল অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া কমনওয়েলথ সিরিজে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পাঁচ বলে ওভার দিয়েছিলেন আম্পায়ার সাইমন ফ্রাই। অ্যাডিলেডে সেদিন ভারতের বিপক্ষে বল করছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা।

আম্পায়ারের এমন ভুলে কোনো সমস্যা হয়নি খেলায়। কারণ পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ৪৩.৪ ওভারেই ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here