বাংলা খবর ডেস্ক:
হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীদের জোরপূর্বক সরিয়ে চার্চে গিয়ে বাইবেল হাতে ছবি তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় হোয়াইট হাউসের সামনে সোমবার বিক্ষোভ করছিলেন মানুষ।
এ সময় ট্রাম্প সেন্ট জনস চার্চে যেতে চান। তার জন্য রাস্তা ফাকা করতে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন ন্যাশনাল গার্ড মিলিটারি পুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পুলিশ।
এর পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে চার্চে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে বাইবেল হাতে ছবি তোলেন তিনি।
ওয়াশিংটনের বিশপ (প্রধান যাজক) রেভারেন্ড ম্যারিয়ান এডগার বুড্ডে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে তিনি ‘চরম ক্ষুব্ধ’।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বিনা অনুমতিতে চার্চে যান। তিনি আমাদের ঐতিহ্য বিরোধী কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি শুধুমাত্র বাইবেল হাতে নেন। যা যিশুর শিক্ষার বিরোধী। তিনি আমাদের পবিত্র স্থানের আধ্যাত্মিক প্রতীকগুলোর অপব্যবহার করেছেন।’
ওয়াশিংটনের এই ধর্মীয় নেতা আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আমাদের অশ্বেতাঙ্গ মানুষদের যন্ত্রণা ও পবিত্র মূল্যবোধকে স্বীকার করেননি।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে তিনশ গজ দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক এই সেন্ট জনস চার্চ। রবিবার রাতে আন্দোলনের এক পর্যায়ে চার্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এমন একটি সময়ে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত চার্চটিতে যাওয়া ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণারই কৌশল।
উল্লেখ্য, ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ। এরপরই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রকাশ্যে শহরের রাস্তায় ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধে ফ্লয়েডকে হত্যা করে ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ অফিসার দেরেক। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি, এনবিসি নিউজ