বাংলা খবর ডেস্ক,নিউইয়র্ক:
করোনায় আক্রান্ত ছিলেন জর্জ ফ্লয়েড। যেই কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গ পুলিশের অমানবিক অত্যাচারের বিরোধিতায় গোটা আমেরিকা এখন রাস্তায়, সেই জর্জ ফ্লয়েডের সম্পূর্ণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ পেল বুধবার। ৩ এপ্রিল তাঁর করোনা পরীক্ষাও হয়েছিল।
কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের সম্পূর্ণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ পেল বুধবার। দেখা গিয়েছে, জর্জের শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়েছিল। এছাড়া তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরও বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হেনেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল এক্সামিনারের দফতর থেকে জর্জের পরিবারের অনুমতি নিয়ে একটি ২০ পৃষ্ঠার মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর কারণ শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মীই। আট মিনিট ধরে জর্জের গলা চেপে বসে থাকার ফলে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যায় তাঁর।
বুধবার মেডিক্যাল রিপোর্টটি হাতে আসে। প্রধান স্বাস্থ্য পরীক্ষক অ্যান্ড্রু বেকার জানালেন, জর্জের শরীরে করোনার হদিশ মিলেছিল। ৩ এপ্রিল তাঁর করোনা পরীক্ষাও হয়েছিল। তাঁর কোনও উপসর্গ ছিল না। ফ্লয়েডের ফুসফুস ভাল ছিল কিন্তু দেখা গিয়েছে তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনী সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছে।
কাউন্টির আগের সংক্ষিপ্ত মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবরণের সময়ে ফেন্টানিল ও সাম্প্রতিক মেথামফেটামাইন ব্যবহারের উল্লেখও রয়েছে। যদিও মৃত্যুর কারণে এগুলিকে দায়ী করা হয়নি। যদিও সমগ্র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফেন্টানিল ব্যবহারের কারণে গুরুতর শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনির সম্ভাবনা ছিল। ফ্লয়েড পরিবারের আইনজীবী, বেন ক্র্যাম্প সরকারী ময়নাতদন্তের বিরোধিতা করছিলেন। পুলিশ কর্মী শভিনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগের মধ্যে যেই কারণটা বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা হল সেমুহূর্তে জর্জের শরীরে অক্সিজেনের কমতি হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। ফ্লয়েড পরিবারের যে ময়নাতদন্তটি প্রকাশ করেছিল, তাতে স্পষ্ট ছিল, ঘাড় এবং পিঠের সংকোচনের কারণে জর্জ শ্বাসরোধে মারা গিয়েছিলেন।