বাংলা খবর ডেস্ক:
১০০ দিন পর ইংল্যান্ডে ফিরল ফুটবল। আর্সেনালের ফেরাটা হল দুঃস্বপ্নের মতো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে গানাররা। সিটিজেনদের সঙ্গে শেষ পাঁচবারের দেখায় একবারও জয় পায়নি আর্সেনাল। তবে লীগ স্থগিতের আগে টানা ৮ ম্যাচ হারেনি মাইকেল আর্তেতার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই যখন স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন গ্রানিত শাকা আর্সেনালের দুঃস্বপ্নের এক রাতের আভাস মিলেছিল তখনই। এরপর ২৪তম মিনিটে গোড়ালির চোটে ডিফেন্ডার পাবলো মারিকেও হারায় আর্সেনাল। আর তার বদলেই মাঠে নেমেছিলেন ডেভিড লুইজ। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার নিশ্চিত গোল হজম করা থেকে আর্সেনালকে বাঁচিয়েছিলেন গোলরক্ষক বার্নড লেনো। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই কেভিন ডি ব্রুইনের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন তিনি, এরপর ওয়ান-অন-ওয়ান অবস্থা থেকে রিয়াদ মাহরেজকে হতাশ করেন তিনি।
তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি। ডি ব্রুইনের লং ফরোয়ার্ড পাসের বাউন্স বুঝতে অক্ষম লুইজের পাশ দিয়েই বল চলে যায় বক্সের ভেতর। সেখান থেকে স্টার্লিংয়ের জোরালো শটে ম্যাচে এগিয়ে যায় সিটি। চলতি লীগে নিজের ১২তম গোল স্টার্লিং উদযাপন করেন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হাটুঁ গেড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি ধাক্কা খায় আর্সেনাল। রিয়াদ মাহরেজকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দিয়ে লাল কার্ড দেখেন লুইজ। পেনাল্টি থেকে সহজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেলজিক মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন। ৮০তম মিনিটে সিটির গোলরক্ষক এডারসনের সঙ্গে সংঘর্ষে দলটির ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়াও চোটে পড়েন, তাকেও স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। খেলা বন্ধ করে মাঠে বেশ কিছুক্ষণ গার্সিয়ার শুশ্রূষা চলায় নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও ১১ মিনিট। পাঁচ বদলি আগেই কাজে লাগানোয় বাকিটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় সিটিকে। ম্যাচের যোগ করা সেই সময়ে সিটির হয়ে ম্যাচে তৃতীয় গোলটি করেন তরুণ ফিল ফোডেন। তবে ভাগ্য প্রসন্ন হলে যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত সিটি। আর্সেনাল গোলরক্ষক লেনোর দৃঢ়তা এবং আগুয়েরো, স্টার্লিংদের সাইড নেটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সিটিকে।
২৯ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পেপ গার্দিওলার দল। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আর্সেনাল। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট।