পাকিস্তানি পাইলটদের ভুয়া লাইসেন্স: ব্যবস্থা নিলো ভিয়েতনাম, কুয়েত

0
89

বাংলা খবর ডেস্ক:
লাইসেন্স জালিয়াতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিয়েতনাম ও কুয়েতের বিমান সংস্থাগুলিতে কাজ করা পাকিস্তানের পাইলটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দেশ দুটি।

ভিয়েতনামের সংবাদমাধ্যম ভিএনএক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, দেশটির বিমান সংস্থাগুলিতে কাজ করা ২৭ পাকিস্তানি পাইলটকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দেশটির সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (সিএএভি) প্রধান দীন ভিয়েট থাং শনিবার বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

ভিয়েতনামে ছয়টি বিমান সংস্থা রয়েছে। সেগুলো হলো- ভিয়েতনাম এয়ারলাইনস, ভিয়েটিজেট, জেস্টার প্যাসিফিক, ভিয়েতনাম এয়ার সার্ভিসেস কোম্পানি (ভাসকো), বাম্বো এয়ারওয়েজ এবং সদ্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভিয়েস্টার এয়ারলাইনস ও মিলিটারি রান কোম্পানি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্যা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েত পাকিস্তানের সাতজন পাইলট এবং ৫৬ জন প্রকৌশলীকে নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া কাতার, ওমান, ভিয়েতনামের এয়ারলাইন্সেও পাকিস্তানের পাইলট, প্রকৌশলী এবং স্টাফদের একটি তালিকা করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া না যাবে ততোদিন তারা নিষিদ্ধ থাকবেন।

পাকিস্তানের প্রায় ৪০ শতাংশ পাইলটের লাইসেন্স জাল বলে জানিয়েছেন দেশটির এভিয়েশন মন্ত্রী গুলাম সারওয়ার।

গত মাসে করাচীতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পার্লামেন্টে এ কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে গুলাম সারওয়ার বলেন, পাকিস্তানে বর্তমানে ৮৬০ জন পাইলট রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২৬২ জন নিজেরা পরীক্ষায় অংশ নেননি। তারা অন্যজনকে পরীক্ষায় বসিয়েছেন। তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, যাদের জাল লাইসেন্স রয়েছে তারা অনেকেই উড়োজাহাজ উড়াতে পারেন না। রাজনৈতিক ভিত্তিতে এই সব পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

২২ মে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান করাচীর জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে আবাসিক এলাকার ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে এ৩২০ মডেলের বিমানটিতে থাকা ৯৭ আরোহী নিহত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here