বাংলা খবর ডেস্ক:
চীনা অ্যাপের নজরদারি নিয়ে অভিযোগ উঠছিল অনেকদিন ধরে। চীনকে বয়কট করতে বন্ধ করতে হবে চীনের ব্যবসা এবং অবশ্যই চীনা পণ্য। যার মধ্যে চীনা জনপ্রিয় অ্যাপও ছিল। সেগুলোকে বয়কটের ডাক দিয়েছিল অনেকে। চীন-ভারত সংঘর্ষের পর রীতিমত এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই পথে হাঁটল সরকার। ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধের ঘোষণা করা হলো যার মধ্যে রয়েছে TikTok, Shareit, UC Browser-র মতো অ্যাপগুলো।
চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার বিষয়েও আলোচনা চলছিল সরকারি পর্যায়ে। কী কী চীনা অ্যাপ রয়েছে, সেই তালিকা আগেই চেয়েছিল সরকার। এবার সরাসরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো একগুচ্ছ অ্যাপ।
এর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে জনপ্রিয় অ্যাপ টিক টক। যে অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন বহু মোবাইল ব্যবহারকারী। আর সেটি একটি চীনা অ্যাপ। তাই লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার থাকা সত্বেও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো সেই অ্যাপ। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ।
এর মধ্যে রয়েছে জেন্ডার, শেয়ার ইট-এর মতো অ্যাপ। যেগুলি বহুল প্রচলিত। এছাড়া শাওমি-র বেশ কিছু অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও একাধিক বার ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য, সার্চ হিস্টরি ইত্যাদির ওপর নজরদারি বা তথ্য হাতানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একাধিক চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে।
শুধু ভারতীয়দেরই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব জুড়ে iPhone ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ও কার্যকলাপের ওপর নজরদারি চালাত TikTok। অনেক সাইবার বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ব্যবহারকারীদের ক্লিপবোর্ড অ্যাকসেস করে হয়তো তাঁদের ব্যক্তিগত মেসেজে পর্যন্ত আড়ি পেতেছে এই চীনা অ্যাপ।
এদিকে, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল থেকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে ভারত। চীনের গালওয়ান ভ্যালিতে অন্তত ৪২৩ মিটার ঢুকে এসেছে চীনের সেনাবাহিনী। ১৯৬০ সালে বেজিং যে অংশকে নিজেদের এলাকা বলে চিহ্নিত করেছিল, সেখান থেকেও এগিয়ে এসেছে তারা।