বাংলা খবর ডেস্ক:
নেপালের নির্বাচিত সরকার উৎখাতে ভারত ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
রোববার দেশটির প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা মদন ভাণ্ডারির ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিজের সরকারি বাসভবনে এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনিই ক্ষমতায় থাকবেন। কেপি শর্মা বলেন, ‘দিল্লি থেকে এরকমই খবর আসছে। নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশের জেরেই ভারতে একের পর এক বৈঠক চলছে নেপালের বিরুদ্ধে।’ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও জিনিউজের।
নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে দেশটির সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী ১৩ জুন সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। এতে নতুন মানচিত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
যাতে বিতর্কিত লিমপিয়াধুরা-কালাপানি-লিপুলেখ অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারত এই এলাকাগুলোকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।
১৮ জুন বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভাণ্ডারি। এ কারণে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তার প্রতিপক্ষদের দিল্লি উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওলি।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালের সংবিধান সংশোধন নিয়ে ভারতে বৈঠক করা হচ্ছে। আমাদের সরকার ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এবং কাঠমান্ডুতে দিল্লির দূতাবাস এ ষড়যন্ত্র করছে।
তবে এই ‘যড়যন্ত্রকে’ আমল দিতে নারাজ ওলি। তিনি বলেন, নেপালের ভূখণ্ড চিহ্নিত করায় নাখোশ ভারত।
আমাদের জাতীয়তাবাদ এত দুর্বল নয়। আমরা আমাদের মানচিত্র পরিবর্তন করেছি এবং এখন যদি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করা হয় তাহলে নেপালের জনগণের কাছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
তার দল এই ফাঁদে পা দেবে না। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় ওলি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে নেপাল কমিউনিস্ট দলের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও দলের ভেতর বিভাজন রয়েছে।
এদিকে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য নিজের সীমান্ত খুলে দিয়েছে নেপাল। নির্মাণ কাজের কাঁচামাল, পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।