বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে এবার মার্কিন দমকলকর্মীরা

0
108

বাংলা খবর ডেস্ক:
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের আবহে ৬০টি আলাদা কর্মী সংগঠনের ডাকে ‘স্ট্রাইক ফর ব্ল্যাক লাইভস’ নামের এ প্রচারে সাড়া দিয়ে ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন দেশটির দমকলকর্মীরাও।

বর্ণবিদ্বেষের কারণে তৈরি বৈষম্য ঘোচানোর দাবিতে এভাবেই একযোগে আন্দোলনে শামিল হন আমেরিকার বোস্টন থেকে শুরু করে সান ফ্রান্সিসকোর বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা। খবর লসঅ্যাঞ্জেলেস টাইমসের।

স্থানীয় সময় সোমবার কাজ ফেলে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন মার্কিন দমকল বাহিনীর কর্মীরা।

এদিনের এ ধর্মঘটে শামিল হয়েছিল ‘সার্ভিস এমপ্লয়িজ় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়নসহ আরও অনেক মার্কিন কর্মী সংগঠন। অংশগ্রহণ করেছিল বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনও।

‘স্ট্রাইক ফর ব্ল্যাক লাইভস’ নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন আয়োজকেরা। সেখানে তাদের উদ্দেশ্য ও দাবিগুলো স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

এর মধ্যে এক নম্বর– ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বা ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান’ তা অদ্ব্যর্থকভাবে ঘোষণা করুক বাণিজ্য, রাজনীতি এবং প্রশাসনের কর্তারা।

আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, নাগরিক অধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে মার্কিন অর্থনীতি ঢেলে সাজানোর দিকে মনোনিবেশ করুক প্রশাসকরা। সংশোধন আনা হোক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ধর্মঘটের ফলে এই প্রথম বর্ণবিদ্বেষবিরোধী আন্দোলন সরাসরি প্রভাব ফেলল মার্কিন অর্থনীতির ওপর।

আন্দোলনকারীরা জানান, বাণিজ্যক্ষেত্রে বর্ণবিদ্বেষ এবং সাদা চামড়ার আধিপত্যকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়াও তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ শহরে ধর্মঘট সাড়া ফেলেছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

কর্মসূচিতে দমকল বাহিনীর মতো অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরি পরিসেবায় কর্মরত মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনা মোকাবেলায় প্রথম সারির যোদ্ধাদের অংশগ্রহণের হারও ছিল নজর কাড়া।

যারা গোটা দিনের জন্য আন্দোলনে যোগ দিতে পারেননি তাদের কমপক্ষে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের জন্য কাজ থেকে বিরতি নেয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন আয়োজকরা। কারণ ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের গলায় পা দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, যা থেকেই ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে বাধ্য হয়েছে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত বা গ্রেফতার করা লোকজনদের গলায় শ্বাসরোধের চেষ্টা করতে পারবেন না পুলিশ কর্মীরা। মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মিনেসোটার প্রশাসন।

তা ছাড়া একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেখানকার পুলিশের ওপর। জর্জ ফ্লয়েড নিহতের ঘটনায় এ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here