বাংলা খবর ডেস্ক:
বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার আসামি সাহেদকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে, করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার মামলায় বহুল আলোচিত বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ১৫ জুলাই ভোর সাড়ে পাঁচটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। সাহেদের খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।
র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতারণা মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকালে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামের নির্দেশে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করে। ডিবি (উত্তর) মামলাটি তদন্তের ভার নেয়।
পরে র্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার ( ২২ জুলাই) মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন ( র্যাব)। বৃহস্পতিবার ( ২৩ জুলাই) ডিবি থেকে সাহেদকে র্যাবের হাতে হস্তান্তর করা হয়।