বাংলা খবর ডেস্ক:
হজের প্রধান আবশ্যকীয় বিধান ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন হাজিরা। গতকাল ১০ জিলহজ মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে জামারা আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করেন। পশু কোরবানি সম্পন্ন করেন। মাথার চুল কর্তন করেন। ইহরাম থেকে মুক্ত হয়ে মিনা থেকে মক্কায় ফিরে কাবার তাওয়াফ (তাওয়াফ ইফাদা) ও সাফা-মারওয়ায় সায়ি সম্পন্ন করেন।
অতঃপর মিনায় তাশরিকের তিন দিন (১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ) তিনটি জামারায় পাথর নিক্ষেপ শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবার পাথর নিক্ষেপের সময় সেখানে প্রচুর বৃষ্টিবর্ষণ হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাথর নিক্ষেপ অব্যাহত রাখেন হাজিরা।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগেই হাজিদের মোড়ানো ব্যাগে জীবাণুমুক্ত পাথর সরবরাহ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে হাজিদের প্রত্যেক দলকে জামারায় পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। জামারা কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০ জন হাজি পাথর নিক্ষেপ করেন। সবার পাথর নিক্ষেপের সময় সবার মধ্যে কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্ব রাখা হয়।
হজ নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারী পরিচালক মেজর জেনারেল মুহাম্মাদ বাসামি বলেন, মুজদালিফা থেকে ফজরের পর অত্যন্ত সুশৃঙ্ক্ষলভাবে হাজিদের মিনায় আসা সম্পন্ন হয় এবং নির্ধারিত সময়ে সবাই জামারা কমপ্লেক্সে পাথর নিক্ষেপের জন্য এসে পৌঁছেছে। তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পরিকল্পনা এবার শতভাগ সফল হয়েছে বলে জানিয়ে হজের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা।
সূত্র : সৌদি গেজেট