বাংলা খবর ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি সমুদ্র সৈকতে সার্ফিংয়ের সময় এক নারীর ওপর আক্রমণ চালায় হাঙ্গর। তবে তৎক্ষণাৎ তার স্বামী সার্ফবোর্ড থেকে ওই হাঙ্গরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
হাঙ্গরটিকে তিনি বারবার ঘুষি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ওই হাঙ্গর।
হামলার সময় শ্যান্টেল ডয়েল (৩৫) নিউ সাউথ ওয়েলসের পোর্ট ম্যাককুয়েরিতে শেলি বিচে সার্ফিং করছিলেন।
তার স্বামী হাঙরটিকে টানা ঘুষি মেরে স্ত্রীকে এর কবল থেকে উদ্ধার করেন, এরপর ডয়েলকে তিনি তীরে উঠে আসতেও সহায়তা করেন।
ডান পায়ে গুরুতর আহতাবস্থায় ডয়েলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে পোর্ট ম্যাককুয়েরি নিউজ জানিয়েছে, এই বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে ডয়েলের ওপর তিন মিটার বা প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অল্পবয়সী সাদা হাঙ্গর হামলা চালাতে পারে।
সার্ফ লাইফ সেভিং-এনএসডব্লিউ এর প্রধান নির্বাহী স্টিভেন পিয়ার্স এতো দ্রুত ও সাহসী পদক্ষেপের জন্য ওই নারীর স্বামীর ব্যাপক প্রশংসা করেন। গণমাধ্যমে ওই ব্যক্তির নাম মার্ক র্যাপলে বলে জানা গেছে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাতকারে স্টিভেন পিয়ার্স বলেন, ‘এই ব্যক্তি তার সার্ফিং বোর্ড থেকে হাঙ্গরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তার স্ত্রীকে বাচাতে হাঙ্গরের সাথে লড়াই করেছেন। এরপর আবার সৈকতে ফিরে আসতে তার আহত স্ত্রীকে সহায়তা করেছেন, কিছু বাদ যায়নি। তিনি সত্যিই একজন বীর।’
এনএসডব্লিউ অ্যাম্বুলেন্সের পরিদর্শক অ্যান্ড্রু বেভারলি বলেছেন, হাসপাতালে আসার আগে সৈকতের লোকজন ডয়েলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।
‘ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিলেন, তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা দারুণ কাজ করেছে,’ তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন যে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এটি উপকূলের কাছে হাঙ্গর আক্রমণের এটা তৃতীয় বড় ঘটনা।
ডয়েলকে পরে অস্ত্রোপচারের জন্য নিউক্যাসল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। সূত্র: বিবিসি