শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে চূড়ান্ত দল ঘোষণা

0
83
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

বাংলা খবর ডেস্ক:
নিয়ম অনুসারে সফরের আগে দেশ থেকেই দল ঘোষণা করেন নির্বাচকরা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনাভাইরাস দারুণ প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেটের ওপরও। সব নিয়মই যেন এলোমেলো। ২০ থেকে ২২ জনের প্রাথমিক দল নিয়েই এবার শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এর কারণ দুটি, প্রথমটি হলো ক্রিকেটারদের কারো করোনা ধরা পড়লে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। এছাড়াও দেশে দীর্ঘ দিন ক্রিকেট নেই। দেশ ছাড়ার আগে প্রস্তুতিরও সময় কম। তাই শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই বেছে নেয়া হবে চূড়ান্ত দল।

এ বিষয়ে গতকাল জতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমরা শেষবারের মতো টেস্ট খেলেছিলাম, এখানে অনেকদিন ধরে আমাদের খেলা নেই। অনুশীলনের মধ্যেও নেই, তারপরও অভিজ্ঞতাকে আমরা অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। শ্রীলঙ্কা গিয়ে আমাদের অনেক প্রস্ততি ম্যাচ আছে, ওইখানেই আমরা মূল স্কোয়াডটা ঘোষণা করবো। যে কারণে প্রাথমিক দল নিয়ে সেখানে যাবো। সেখানে ট্রেনিং সেশনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে ২০-২২জন নিয়ে যাচ্ছি।
নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানিয়েছেন মোট ৩৮ জন ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা পুল আছে ৩৮ জনের। সবাইকে কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হবে। এটা আমরা ব্যাক আপ হিসেবে রেডি রাখছি, সাথে ২৪ জনের একটা এইচপি স্কোয়াডও সেখানে যাচ্ছে। ওইভাবেই আমরা ব্যালেন্স করে রাখছি, যাকে যখন দরকার হবে ব্যবহার করা হবে। দেশে ৩ বার করোনা পরীক্ষা করে সেখানে গিয়ে আরেকটা টেস্ট হবে। আসলে ২বার টেস্ট না করলে তো বুঝা যাবে না কে নেগেটিভ।’

জাতীয় দলের মতো সুযোগ সুবিধা পাবে এইচপি:
জাতীয় দলের সঙ্গে যাচ্ছে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) ২৪ সদস্যও। তাদের জন্যও রাখা হয়েছে করোনা পরীক্ষার সব ব্যবস্থা। শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের মত সুযোগ সুবিধা পাবে এইচপি ইউনিট। এমনটাই জানিয়েছেন এইচপির চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই যেহেতু নিজের বাসায় থাকেন সে জন্য তাদের বাসা থেকে স্যাম্পল কালেকশন হবে। আর এইচপির যারা ঢাকায় নিজের বাসায় থাকে তাদেরও বাসা থেকেই কালেকশন করা হবে। এবং একই সময়ে বাকিদের আমাদের ক্রিকেট একাডেমিতে এনে স্যাম্পল কালেকশন করা হবে ভাগে ভাগে, এক সাথে না। দুই দলই একই সঙ্গে হোটেলে থাকবে, যেহেতু অকসঙ্গে অনুশীলন করবে। একই সুযোগ সুবিধা পাবে। জাতীয় দলের সাথে এইচপির প্রস্ততি ম্যাচ হবে।’
শ্রীলঙ্কায় এইচপির ক্রিকেটাররা কোথায় থাকবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। দুর্জয় বলেন, ‘এখনো অ্যাকোমডেশন ও ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক যে আলাপ আলোচনা হচ্ছে তাতে জাতীয় দল ও এইচপি একই আয়োজনে থাকবে। কারণ এটা শুধু আমাদের ইচ্ছের ব্যাপার না, ওদেরও (শ্রীলঙ্কা) প্রটোকলের ব্যাপার। পরে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এইচপি দল আলাদা হয়ে যাবে। কারণ জাতীয় দল ও এইচপি দুটোতেই পূর্ণ স্কোয়াড থাকবে। এইচপির যে ২৪-২৫ বা ২৬ জনের যে স্কোয়াড হয় ঐ পুরো স্কোয়াডটাই যাবে। কিন্তু সিরিজ যখন আমরা খেলি তখন তো পুরো স্কোয়াড থাকে না। তো বাকিরা এমনিতেই ফেরত চলে আসবে।’
এছাড়াও পুরো সফরে দারুণ চাপ থাকবে বলে মনে করেন নাঈমুর রহমান। তাই পরিস্থিতি যে কোনো সময় বদলাতে পারে। তিনি বলেন, ‘চাপ, চ্যালেঞ্জ সবকিছুই থাকবে, আছে। এখনো বলা যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার অবস্থা ভালো দেখে আমরা চিন্তা করছি, আমরা যাওয়ার আগ পর্যন্ত যে এরকম থাকবে সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। নিউজিল্যান্ড একদিন ঘোষণা দেয় কোভিড মুক্ত দেশ, তার পরে আবার দেখা যাচ্ছে সংক্রমিত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং একটা বড় কনফিউশনও থাকে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here