ঘরের ছেলেই ডোবালো পিএসজিকে!

0
88

বাংলা খবর ডেস্ক:
২০১১ সাল থেকে কাতারি পেট্রোডলার উড়িয়ে বদলে গেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। গত নয় বছরে খেলোয়াড় কেনায় দলটির খরচ ১.৩০ বিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। সাফল্যের জন্য দলে ভিড়িয়েছে একের পর এক বড় তারকা। দ্রুত সাফল্যের জন্য মরিয়া ক্লাবটি তাদের একাডেমির ফুটবলারদের মূল্য দিয়েছে কমই। ফরাসি জায়ান্টদের হৃদয় ভেঙেছেন তেমনি প্যারিসের এক তরুণ। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ফাইনালের একমাত্র গোলদাতা কিংসলে কোমানের ফুটবলের প্রথম পাঠ পিএসজিতেই। মূল দলেও অভিষেক হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর বয়সে।

কিন্তু বড় তারকাদের ভিড়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ না পেয়ে ক্লাব ছাড়তে হয় কোমানকে।
১০ বছর বয়সে পিএসজি একাডেমিতে যোগ দেন কিংসলে কোমান। ২০১৩ সালে ক্লাবের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মূল দলে অভিষেক হয় এই উইঙ্গারের। একবছর না যেতেই ব্রাত্য হয়ে পড়লেন। তিনি নাম লেখান জুভেন্টাসে। সেখানে এক মৌসুম কাটিয়ে পাড়ি জমান বায়ার্ন মিউনিখে।
২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে একাদশে জায়গা পাননি। তার জায়গায় ইভান পেরিসিচ কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে গোলও করেন। তবুও বায়ার্ন কোচ হ্যানসি ফ্লিক ফাইনালে আস্থা রাখলেন কোমানের ওপর।
তরুণ এই ফ্রেঞ্চ উইঙ্গারের গোলেই ২০১২-১৩ মৌসুমের পর দ্বিতীয়বার ট্রেবল জয়ের কৃতিত্ব দেখালো বায়ার্ন মিউনিখ। দলকে জেতাতে পেরে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে কোমানের কন্ঠে ঝরেছে সাবেক ক্লাবের জন্য সমবেদনাও। কোমান বলেন, ‘অবিশ্বাস্য আর অসাধারণ অনুভূতি। তবে কিছুটা খারাপও লাগছে পিএসজির জন্য। তারা দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ফাইনালে উঠেছিল। তাদের এমন কৃতিত্বকে আমাদের সম্মান করতেই হবে।’
চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাসে পঞ্চম ফ্রেঞ্চ ফুটবলার হিসেবে ফাইনালে গোল পেলেন কোমান। এর আগে ফাইনালে গোলের কৃতিত্ব দেখান করিম বেনজেমা (২০১৮), জিনেদিন জিদান (২০০২), মার্সেল ডেসাই (১৯৯৪) এবং বাসিল বলি (১৯৯৩)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here