বাংলা খবর ডেস্ক:
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ বলেছে, নবীজিকে অপমান করা মানে উগ্রবাদীদের উস্কে দেয়া। এতে করে সমাজে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়বে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ’র বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল আরাবিয়া।
সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ হলো সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এই সংগঠনের মূল কাজ ধর্মীয় বিষয়ে সৌদি বাদশাহকে পরামর্শ দেয়া এবং সেই পরামর্শের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাদশাহ এই পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ দেন, সরকার কর্তৃক তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়।
এক বিবৃতিতে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ জানায়, বিশ্বের বিজ্ঞ ও জ্ঞানী লোকদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে এই অপমানের নিন্দা জানানো। মুক্ত চিন্তা ও বাক স্বাধীনতার নামে কুসংস্কার ছড়িয়ে দেয়া এবং উগ্রবাদীদের উষ্কে দেয়া হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে অবস্থান নিতে হবে।
গত ১৬ অক্টোবর প্য়ারিসের রাস্তায় ফ্রান্সের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে হত্যা করেছিল এক তরুণ। কারণ, ওই শিক্ষক ক্লাসে মহানবীর কার্টুন দেখিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। শিক্ষকের ওপর হামলাকারী আবদৌলখ নামের ওই তরুণ ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।
এই হত্যার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন বলেন, স্যামুয়েল পাটি নামের ওই শিক্ষককে খুন করার কারণ ইসলামপন্থীরা আমাদের ভবিষ্যত কেড়ে নিতে চায়, কিন্তু ফ্রান্স কার্টুন প্রদর্শন বন্ধ করবে না।
এই ঘটনার পর আরব বিশ্ব ও ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের মধ্যে তীব্র নীন্দার ঝর উঠে। যার প্রেক্ষিতে বিবৃতিটি প্রকাশ করলো সৌদির সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ।