বাংলা খবর ডেস্ক:
ভারতের দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে গতকাল ষষ্ঠবারের মতো বৈঠক করেছেন। এদিন বৈঠকের ফাঁকে মন্ত্রীরা কৃষকদের লঙ্গর থেকে আনা খাবারই ভাগ করে খেয়েছেন। কৃষক নেতারা বরাবরই সরকারের দেওয়া খাবার খেতে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা নিজেদের লঙ্গর থেকে খাবার আনেন। এদিন বৈঠকের ফাঁকে লাঞ্চ ব্রেকের সময় দেখা যায়, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও পীযূষ গয়াল সেই খাবারই কৃষক নেতাদের সঙ্গে ভাগ করে খাচ্ছেন।
বিজ্ঞান ভবনে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মন্ত্রীরা। সেখানকার এক ভিডিওতে দেখা যায়, মন্ত্রীরা খাচ্ছেন লঙ্গর থেকে আনা ভাত, রুটি ও সিদ্ধ সবজি। সরকার আশা করছে, গতকাল বুধবারের বৈঠকেই কোনো সমাধান সূত্র বেরোতে পারে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমপ্রকাশ এদিন বৈঠকের আগে বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে, আজই একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাবে।’ এর আগে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, এ বছরের শেষেই কৃষক বিক্ষোভ শান্ত হবে।’
সোমপ্রকাশ এদিন বলেন, ‘সরকার চায়, কৃষকরা নিজেদের বাড়িতে, পরিবারের সঙ্গে নববর্ষের উৎসব করুন। আমরা তাঁদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় বসব। সরকার চায়, আন্দোলনকারীরা বাড়ি ফিরে যাক। সে জন্য এই বিতর্কের সমাধান করা হবে।’
আন্দোলনরত কৃষকরা এখনো অত আশাবাদী নন। পাঞ্জাবের কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতা সুখবিন্দর সিং সাবরা বলেন, ‘এর আগে পাঁচ দফা আলোচনা হয়েছে। আমাদের মনে হয় না, আজকের বৈঠকেই সমাধান সূত্র বের হবে। নতুন তিনটি কৃষি আইন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।’ সূত্র : দ্য ওয়াল।