স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা

0
79

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) :

২০২০ সালের গ্লানি আর দুর্যোগ কাঁধে নিয়েই ২০২১ সালে প্রবেশ করেছি। সব দুর্যোগ ও গ্লানি ধুয়েমুছে ফেলতে পারিনি বলেই করোনা, চরম ধর্মীয় উগ্রবাদ ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়েই নতুন বছরে পদার্পণ করতে হচ্ছে। তাই এগুলোকে মেনে নিয়ে নয়, প্রবল প্রতিরোধী মন নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে নতুন আশায় বুক বাঁধতে চাই, গ্লানি মুছে, দুর্যোগ কাটিয়ে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাড়ির আঙিনায় দূর্বাঘাসের নিচে কালসাপের বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা সময়মতো টের না পেলে তা হয় ভয়ংকর। শুধু ২০২১ সাল নয়, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ধর্মীয় রাজনীতি এবং তার থেকে উৎপত্তি হওয়া চরম উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা। ধর্মান্ধতা, চরম সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী মতাদর্শের রাষ্ট্রীয় নীতির কারণেই পাকিস্তান আজ তলানিতে এবং ব্যর্থ রাষ্ট্র। একসঙ্গে থাকলে এর থেকে কখনোই আমরা মুক্ত হতে পারতাম না, যেমন পাকিস্তানের জনগণ আজও পারেনি। মিথ্যার ধর্মীয় উন্মাদনায় সাধারণ মানুষকে বুঁদ করে রেখে মুষ্টিমেয় মোল্লা আর মিলিটারি পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। আমরা সেই রকম রাষ্ট্র চাইনি, চাই না বলে সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং এত বড় ত্যাগ। সুতরাং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং সর্বপ্রকার বৈষম্য থেকে মুক্তির মৌলিক সোপান ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রই প্রকৃতপক্ষে আসল বাংলাদেশ।

এই বাংলাদেশের নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে, যা ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ১৯৭৫ থেকে গত ৪৫ বছরে এর প্রেক্ষাপটটি ধীরে ধীরে যেভাবে সবার চোখের সামনে তৈরি হয়েছে, তা ঠেকানোর জন্য যা করণীয় ছিল সেটা আমরা করতে ব্যর্থ হয়েছি, আর নয়তো এর ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারিনি। ব্যক্তিগতভাবে আমরা অনেকেই অটল থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সামষ্টিক জায়গাটির সংকোচন ঠেকাতে পারিনি। কারণ তা ঠেকানোর জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রমের যে আবশ্যকীয়তা ও অপরিহার্যতা ছিল, সেটি রাষ্ট্র, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কোনো জায়গার সংগঠন থেকেই করা হয়নি। একদিকে ঠেকানোর কার্যক্রম নেই, অন্য দিক থেকে সর্বগ্রাসী আগ্রাসন। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। ৪৫ বছরের প্রস্তুতিতে তারা এতই শক্তি অর্জন করেছে যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবাহী রাজনৈতিক পক্ষ ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিতে পারে। আমরা ভয় পেয়ে এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছি। বাংলাদেশে বহু মত ও পথের হাজার হাজার মাদরাসা রয়েছে, যার ওপর রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সেখানে কী হচ্ছে, কী শিক্ষা দেওয়া হয় তা কেউ জানে না।

হ্যারল্ড লাস্কি তাঁর বিখ্যাত রচনা ‘আ গ্রামার অব পলিটিকস’ গ্রন্থে বলেছেন, স্বাধীনতা অবশ্যই থাকবে, তবে কোনো কিছুই রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকতে পারবে না, থাকলে সে রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্বতঃসিদ্ধ কথার ব্যত্যয়ে বাংলাদেশে আজ কখনো কখনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংগঠনকে রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী মনে হয়। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তন করলেও বাস্তবতার নিরিখে বুঝেছিলেন, বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানপ্রধান দেশে ধর্মের সঠিক, সত্য, উদার, শান্তির বাণী ও মানবিক ব্যাখ্যা তুলে ধরার মতো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান না থাকলে ধর্মব্যবসায়ী রাজনীতিকরা এর সুযোগ নেবে এবং বাংলাদেশকে আবার ধর্মীয় উন্মাদনা ও অন্ধত্বের মধ্যে ফেলবে, স্বাধীনতা অর্জনের মৌলিকত্ব ব্যর্থ হয়ে যাবে। এ কারণেই অপব্যাখ্যাকারীদের কবল থেকে ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করলেন। কিন্তু আজকের মাঠের চিত্র কী। প্রতিটি গ্রাম-মহল্লা মিলে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে কয়েক লাখ মসজিদ, ইমাম থাকা সত্ত্বেও ধর্ম আজ অপব্যাখ্যাকারীদের দখলে চলে যাওয়ার প্রমাণ বঙ্গবন্ধু প্রণীত লক্ষ্য অর্জনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন চরমভাবে ব্যর্থ এবং অকার্যকর একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্র পরিচালনায় স্তাবকতা ও তোষামোদি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের কত বড় ক্ষতি করতে পারে তার বর্ণনা দিয়েছেন ম্যাকিয়াভেলি ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থের ২৩ নম্বর অধ্যায়ে, যার বাস্তবতা আজ বাংলাদেশের বহু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই সঠিক। দেশব্যাপী ধর্মান্ধতার বিস্তার সম্পর্কিত দুটি চিত্র তুলে ধরি। বাঙালি সংস্কৃতির উদারসহিষ্ণুতার অনুষঙ্গ পালা-পার্বণ, গান, যাত্রা, নাটক, থিয়েটার স্বাধীনতার শুরুতে দেশের সর্বত্র, সর্বস্তরের বিদ্যাপীঠসহ যে মাত্রার ছিল তার শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ নাই হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে এর প্রতিকার কখনোই করা হয়নি, বরং পরোক্ষভাবে ধর্মীয় অজুহাতে, আর নয়তো উগ্রবাদীরা হাঙ্গামা বাধাবে এই ভয়ে নিরুৎসাহ করা হয়েছে। আরেকটি বড় চিত্র। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে প্রাথমিক পর্যন্ত বড় থেকে ছোট মেয়েদের মধ্যে ব্যাপকভাবে যে রকম সৌদি আরবীয় কট্টর ওয়াহাবিপন্থী ড্রেসের ব্যবহার দেখা যায় তার ব্যাখ্যা কী হবে। ড্রেস যেটাই হোক, সেটি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়। এর পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলছি না। কিন্তু পোশাকটা যদি ধর্মীয় অপব্যাখ্যা বা অন্ধবিশ্বাসের ওপর হয়, তাহলে সেটা ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়। ধর্মকে যারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তারা এর মাধ্যমে সুবিধা পায়। বৃহত্তর সাধারণ মানুষের পক্ষে ধর্মের সব গভীর ব্যাখ্যা জানা সম্ভব নয়। সুতরাং পোশাক বা অন্য যেকোনো কিছুর অবলম্বনে মানুষকে যদি দুর্বল করে রাখা যায়, তাহলে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সেসব মানুষকে সহজেই পক্ষে রাখা যায় এবং ধর্মব্যবসায়ীরা যতই অপকর্ম করুক, তাতে সমাজ-রাষ্ট্রের যতই ক্ষতি হোক, বৃহত্তর মানুষ সেটিকে সংবেদনশীল বিষয় মনে করে সেসবের প্রতিবাদে এগিয়ে আসে না।

ধর্মীয় রাজনীতি যারা করে তারা এটাই চায়, বৃহত্তর মানুষকে নীরব-নিশ্চুপ করে ফেলার এটাই তাদের কৌশল। এ চেষ্টায় তারা অনেকটাই সফল। ১৯৭৫ সালের পর গত ৪৫ বছরে তারা ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ২০২০ সালে এসে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার শিখিয়ে দেওয়া কৌশল অনুসারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি ছিল একটা টেস্ট কেস। তারা পরখ করে দেখল, আর কত দিন পর সর্বাত্মক আক্রমণ চালানো যাবে। তারা অনেকটাই সফল। ভাস্কর্য থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। এটা তাদের জন্য বিরাট সাফল্য। রাষ্ট্রের শিকড় সাংবিধানিক মৌলিক ভিত্তি যদি দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়িত্ব না পায়, একবার এদিক তো আরেকবার ওদিক বা মাঝখানে থাকে, তাহলে সে রাষ্ট্রের অবস্থা কী হয় তার উদাহরণ আফগানিস্তান। ১৯১৯ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশটি কখনো একটা টেকসই শাসনতন্ত্র তৈরি এবং তাতে অটল থাকতে পারেনি। ১৯১৯ সালে বাদশাহ আমানউল্লাহ স্বাধীন আফগানিস্তানে একটা উদার রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। কিন্তু মাত্র ১০ বছরের মাথায় ১৯২৯ সালে তিনি ক্ষমতা থেকে উত্খাত এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তারপর পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় আসেন নাদির খান, জহির শাহ এবং ১৯৭৩ সালে সরদার মুহম্মদ দাউদ। ১৯১৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৪ বছরে উল্লিখিত শাসকরা কেউই রাষ্ট্রকে একটি স্থায়ী সাংবিধানিক মৌলিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। কখনো ধর্মতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন, আবার একসময় সেটি ত্যাগ করে সেক্যুলার মতাদর্শের দিকে গেছেন। আবার কখনো সেক্যুলার ও ধর্মতন্ত্রকে মিলিয়ে জগাখিচুড়ি করেছেন, যা শেষ বিচারে রাষ্ট্রকে দুর্বল করেছে, প্রায় সমান শক্তির সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শগত পক্ষের উৎপত্তিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে, যার সুযোগ নিয়েছে বিদেশি সব পরাশক্তি এবং প্রতিবেশী দেশগুলো। আফগানিস্তানের বর্তমান করুণ পরিণতির জন্য এটাই মুখ্য কারণ। ইতিহাস পথ দেখায়, আমরা দেখতে না চাইলে সেটা ভিন্ন কথা।

রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি। এটিকে শুধু ২০১৭ সালের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ব্র্যাকেটের মধ্যে ফেলে মূল্যায়ন করলে এর সমাধান পাওয়া যাবে না। ১৯৭৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত যা ঘটেছে তার সব কিছুর নির্মোহ মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। তাহলে বোঝা যাবে আসলে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পথে মৌলিক বাধাটি কোথায়। ১৯৭৮ সালে এবং তার পরও অনেক পক্ষ থেকে এটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণে সমস্যাটি জটিল হয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বৈশ্বিক শক্তিবলয় থেকে এর স্থায়ী সমাধান চায় না, বরং এটিকে জিইয়ে রেখে তুরুপের তাস হিসেবে নিজ নিজ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এটিকে তারা ব্যবহার করতে চায়। ফেরত যাওয়াটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার হলে কক্সবাজারের স্থানীয় বাঙালি আর মিয়ানমার থেকে আশা রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যাগত বিন্যাসটি একসময় বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দেখা দেবে। এই সংকট এড়ানোর জন্য ভাসানচরে এক লাখ দ্রুত স্থানান্তরসহ এ রকম আরো প্রয়োজনীয়সংখ্যক ক্যাম্প করে রোহিঙ্গাদের ওপর শতভাগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রের ভৌগোলিক নিরাপত্তার জন্য জরুরি। দেশি-বিদেশি সংস্থা বা রাষ্ট্র এবং মানবাধিকার সংস্থা, যে যা-ই বলুক, সব উপেক্ষা করে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সব রাষ্ট্র সেটিই করে। ১৯৮৯ সালে পশ্চিমা বিশ্বের কঠিন নিষেধাজ্ঞা ও সমালোচনা উপেক্ষা করে তিয়েনআনমেন স্কয়ারের বিদ্রোহ দমন করতে পেরেছিল বলেই চীন আজ বিশ্বশক্তি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও নিউজউইকের সাংবাদিক জাহিদ হুসেনের লেখা, ‘ফ্রন্টলাইন পাকিস্তান, দ্য পাথ টু ক্যাটাস্ট্রফি অ্যান্ড দ্য কিলিং অব বেনজির ভুট্টো’ গ্রন্থে ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার পাকিস্তানি আর্মির সেই ১৯৪৮ সাল থেকে সব পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক বর্ণনা রয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে শত সমালোচনায় বিদ্ধ করলেও ওই বইটি পড়লে মনে হয়, রাষ্ট্রের অখণ্ডতা রক্ষায় এর চেয়ে ভালো আর কোনো বিকল্প ছিল কি না বলা কঠিন। সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা। সব গণতান্ত্রিক দেশের মতো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অটল নিষ্ঠাবান একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থাকলে ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং রোহিঙ্গা সংকট এত দূর গড়াতে পারত না। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শক্তি আর উদ্দীপনায় আমরা সব সংকট কাটিয়ে উঠব, এই প্রত্যাশা করি।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
sikder52@gmail.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here