ট্রাম্পের অপসারণ চায় বেশিরভাগ আমেরিকান

0
75
ক্যাপিটল ভবনে হামলার পরই জরিপে এমন আভাস মিললো। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা খবর ডেস্ক:
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা থেকে দ্রুত অপসারণ চেয়েছেন বেশিরভাগ আমেরিকান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ প্রতিষ্ঠান ইপসস পরিচালিত এক জরিপে এমনই আভাস মিলেছে।

জরিপে বলা হয়েছে, ৫৭ শতাংশ আমেরিকান মতামত দিয়েছেন তারা ট্রাম্পের শিগগির অপসারণ চেয়েছেন। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই জরিপ নেওয়া হয়।

জরিপে অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশ ডেমোক্রাটরা বলেছে, ট্রাম্পের এখনে ক্ষমতা ছাড়া উচিৎ। অন্যদিকে ৮০ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া উচিৎ।

এছাড়া ট্রাম্প শিবিরের ৭০ শতাংশ ভোটার জানিয়েছে তারা গত বুধবারের ক্যাপিটল ভবনে হামলার বিরুদ্ধে।

একই সঙ্গে ট্রাম্পের দুই তৃতীয়াংশ ভোটার বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন বিক্ষোভকারীরা ক্রিমিন্যাল বা বোকা ।

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস আইনসভা বা ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায় ট্রাম্পপন্থী সমর্থেরা। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫ জনের নিহত হওয়ার খবর এসেছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে আরও অনেকে।

এদিকে আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন না বলে জানিয়েছে ট্রাম্প। তবে এনিয়ে বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প না আসলে তিনি খুশি।

ক্যাপিটলে চলে হামলা, ওদিকে পার্টিতে ব্যস্ত ট্রাম্প!

শোনা যায়, রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। বিপদের সময় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের উদাহরণ দিতে এঘটনাকে টেনে আনেন অনেকেই। এখন থেকে হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাও বলা হবে! বুধবার ক্যাপিটল ভবনে উগ্র সমর্থকদের তাণ্ডবের সময় নাকি পার্টি করছিলেন তিনি! বলা হচ্ছে, গোটা ঘটনাই ছিল ট্রাম্পের পূর্বপরিকল্পিত, হামলার পুরোটা সময় টিভি মনিটরে চোখ ছিল তার।

মূলত ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওকে ঘিরেই শুরু হয়েছে এই বিতর্ক। ভিডিওতে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার মেয়ে ইভাঙ্কা এবং ছেলে ট্রাম্প জুনিয়রকে একটি কক্ষে হাস্যোজ্জ্বল মুখে আনন্দ-ফূর্তি করতে দেখা যায়।

এসময় ট্রাম্প অনেকগুলো টিভি মনিটরের সামনে দাঁড়িয়ে ক্যাপিটলে তার সমর্থকদের আনাগোনা পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

ভিডিওটি ধারণ করেছেন খোদ ট্রাম্প জুনিয়রই। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওটির শুরুতেই তাকে সর্মথকদের ‘দেশপ্রেমিক’ উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায়। ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কাও বিক্ষোভকারীদের ‘দেশপ্রেমিক’ আখ্যা দিয়ে একটি টুইট করেছিলেন, যদিও পরে সেটি মুছে ফেলা হয়েছে।

ভিডিওতে ট্রাম্প জুনিয়র তার বাবার সমর্থকদের লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানান। এরপর ঘুরে ঘুরে পুরো কক্ষের দৃশ্য দেখাতে থাকেন।

সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইভাঙ্কাকে হোয়াইট হাউসের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এসময় ট্রাম্পের সামনে থাকা টিভি মনিটরগুলোতে তার সমর্থকদের দেখা যাচ্ছিল।

ভিডিওতে অনেককেই হাসতে এবং কাউকে কাউকে উচ্চৈস্বরে বাজতে থাকা গানের তালে নাচতে দেখা যায়।

২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ক্যাপিটল ভবনে হামলার আগে নাকি পরে ধারণ করা হয়েছে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সেদিন যে সহিংস কিছু হতে চলেছে, ট্রাম্প পরিবার তা আগে থেকেই জানতেন বলে মনে করছেন অনেকে। ইতোমধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

টুইটারে একজন লিখেছেন, ট্রাম্প বিদ্রোহী পার্টি দিয়েছেন। এমনকি ‘গ্লোরিয়া’ (বাজতে থাকা গানটি) বাজাতে বাজাতে ক্যাপিটলে হামলার ক্ষণ গুনছিলেন। এ থেকে পরিষ্কার যে, বিষয়টি পরিকল্পিত।

‘গ্লোরিয়া’ গানের কণ্ঠশিল্পী লরা ব্র্যানিগানও কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের। তিনি বলেছেন, তার গান ব্যবহার করে প্রচারণা চালানোর কোনও অধিকার নেই ট্রাম্প শিবিরের

সূত্র: এনডিটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here