অভিজিৎ হত্যা : পাঁচ জঙ্গির ফাঁসির রায় অনুমোদনে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

0
70

বাংলা খবর ডেস্ক:
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার মামলায় সাবেক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৫ জঙ্গিকে দেওয়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়েছে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় বলে রবিবার জানান সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এই মামলায় পেপারবুক প্রস্তুত করবেন। সাধারণত বিজি প্রেসে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। পেপারবুক প্রস্তুত হলে প্রধান বিচারপতি মামলাটি বিচারের জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ হত্যা মামলায় সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৫ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ এবং আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামসকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে প্রথম চারজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

একুশের বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে খুন হন অভিজিৎ রায়। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। এর কয়েকদিন আগে ওই বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফেরেন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন অধ্যাপক অজয় রায়। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। ওই বছর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here