চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফেরদৌসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজছাত্রী।
রবিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে সুরমা বেগম নামের এক নারীকেও আসামি করা হয়। ধর্ষণের পর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকেও আসামি করা হয়েছে বলে জানান বাদির আইনজীবী আবদুল্লাহ আল ফরহাদ।
আইনজীবি জানান, অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ফেরদৌস (৪৫) সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি ওই এলাকার ইউসুপ মালাদারের বাড়ির মৃত মো. ধনুর ছেলে। অপর আসামি সুরমা বেগম (৪৫) একই এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (১)/৩০ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন বলেও জানান আইনজীবি আবদুল্লাহ আল ফরহাদ।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, উত্তর সন্দ্বীপ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী স্থানীয় প্রভাবশালী ফেরদৌসের কাছে চাকুরির বিষয়ে সুপারিশ চান। তখন ফেরদৌসের কথামত গত ৩০শে জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে সুরমার বাড়িতে যান ওই তরুণী।
সেদিন ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তরুণীকে জোরপূর্বক একাধিবার ধর্ষণ করার পাশাপাশি ছবি তুলেন ফেরদৌস। বাসায় ধর্ষণের সহযোগিতার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হয় সুরমাকে। ঘটনার পর ভয়ে নানার বাড়িতে চলে যান ভুক্তভোগী তরুণী।
গত ২০শে সেপ্টেম্বর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ওই তরুণীর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয় ফেরদৌস। এরপর সবাই বিষয়টি জেনে গেলে আসামিরা আপোষ করতে চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে ২৫শে সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগীর নানার বাড়িতে যায় ফেরদৌসসহ ১০ থেকে ১২ জন আসামি। তখন তরুণীকে তুলে নিয়ে আসতে চেয়ে তারা পারেনি।
এরপর থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
সন্দ্বীপ থানার ওসি মো. শাহজাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক তরুণীর ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দুদিন আগে ফেরদৌসকে আটক করা হয়। তবে তখন কেউ অভিযোগ না করায় ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয়। এখন আদালতের আদেশ পেলে মামলা রেকর্ড করে তাতে ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।